সেকশন

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
 

দেশে দেশে নিষিদ্ধ যত বই

আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২২, ০৬:৩৬ পিএম

সম্প্রতি নিজের বিতর্কিত ও নিষিদ্ধ বইয়ের জেরে হামলার শিকার হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি। তার লেখা ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটির জন্য বহু বছর ধরে হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন তিনি। এ যাত্রায় তাকে হত্যা করতে সমর্থ না হলেও, গুরুতরভাবে আহত করতে সক্ষম হয়েছেন হামলাকারী।

বই নিয়ে লেখকের ওপর আক্রোশের উদাহরণ এটিই প্রথম নয়। এর আগেও বই লিখে হত্যার হুমকি পেয়েছেন অনেকেই। অনেকে আবার প্রাণে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণের দাবির মুখে বিতর্কিত বহু বইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিভিন্ন দেশের সরকার। 

ধর্ম, রাজনীতি, সামাজিক মূল্যবোধসহ নানা কিছুর দোহাই দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে বহু বইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা মানুষকে এসব বই পড়া থেকে থামাতে পারেনি। বরং মানুষের সহজাত কৌতূহলকে উসকে দিয়ে এসব বইয়ের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। 

যুগবাণী (কাজী নজরুল ইসলাম) 

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ যুগবাণী। রাজদ্রোহমূলক প্রবন্ধ রচনা ও প্রচারণার অভিযোগে ১৯২২ সালে বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। 

এ বইয়ে মোট ২১টি প্রবন্ধ রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- নবযুগ, গেছে দেশ দুঃখ নাই, শ্যাম রাখি না কূল রাখি, জাগরণী, আবার তোরা মানুষ হ! প্রভৃতি। 

বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এর সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

তৎকালীন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ‘যুগবাণী’কে একটি ভয়ংকর বই হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, লেখক বইটির মাধ্যমে উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচার করছেন। ‘ক্রীতদাস মানসিকতার’ ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে শাসনভার দখলের মন্ত্রণা জোগানোর অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। 

বইটি কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও বার্মা সরকার কর্তৃক যুগপৎ নিষিদ্ধ হয়। তবে ১৯৪৭ সালে বইটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। 

নজরুলের অন্যান্য নিষিদ্ধ বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘বিষের বাঁশি’, ‘প্রলয় শিখা, ‘ভাঙার গান’ ও ‘চন্দ্রবিন্দু’। 

নারী (হুমায়ূন আজাদ) 

প্রকাশ হওয়ার তিন বছরের মাথায় ১৯৯৫ সালে এই বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি তথা মৌলিক বিশ্বাসের পরিপন্থী আপত্তিকর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় সরকার কর্তৃক ফৌজদারি কার্যবিধির ৯৯ ‘ক’ ধারার ক্ষমতা বলে বর্ণিত বইটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। 

সেইসাথে বইটির ১৪টি বাক্য উদ্ধৃত করে তার প্রেক্ষিতে বইটিকে বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুইজন বিশেষজ্ঞ। 

এ বইটি মূলত বিভিন্ন বিদেশী বই এর ওপর ভিত্তি করে লেখা যা বইটির অবতরণিকাতেই উল্লেখিত। বইটিতে পুরুষতন্ত্রবাদ এবং হিন্দু, ইহুদী, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মের বিধিবিধান দ্বারা নারী কিভাবে শোষিত হয় তার কথা বলা হয়েছে। 

বইটির বিভিন্ন অধ্যায়ে অনেক খ্যাতিমান মানুষ যেমন মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বিশিষ্ট সাহিত্যিক বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ফরাসী দার্শনিক জ্যা জ্যাক রুশো সহ অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সমালোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও ‘প্রেম’ ও কাম’ অধ্যায়ে প্রেমের বিরোধিতা করে ‘কাম বা ‘যৌনতা'র পক্ষে কথা বলা হয়েছে এবং ‘বিয়ে ও সংসার’ অধ্যায়ে বিয়ের বিরোধিতা করা হয়েছে।

‘নারী’ নিষিদ্ধ হওয়ার পরপরই এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন লেখক। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ২০০০ সালে আদালত রায় দেন, নারী নিষিদ্ধকরণ আদেশ অবৈধ। 

নিষিদ্ধ না হলেও, হুমায়ূন আজাদের আরও বেশ কিছু বই নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক ও সমালোচনা রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘শুভব্রত, তার সম্পর্কিত সুসমাচার’ (১৯৯৭), ‘আমার অবিশ্বাস’ (১৯৯৭), ‘রাজনীতিবিদগণ’ (১৯৯৮), ‘ধর্মানুভূতির উপকথা ও অন্যান্য’ (২০০৪) ও ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ (২০০৪)। 

লজ্জা (তসলিমা নাসরিন) 

১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের এক তথ্য বিবরনীর মাধ্যমে তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ বইটি নিষিদ্ধ করা হয়। সেই তথ্য বিবরণী অনুযায়ী, জনমনে বিভ্রান্তি ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অঙ্গনে বিঘ্ন ঘটানো এবং রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য প্রকাশ করায় ‘লজ্জা’ নামক বইটির সকল সংস্করণ সরকার বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে। 

বাবরী মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পর বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার বিষয়ে নিজস্ব মতামতকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা গল্পের বক্তব্য অনেকেরই ভালো লাগেনি। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বের অনেক ভাষায় ‘লজ্জা’ বইটি অনূদিত হয়েছে। 

তবে ‘লজ্জা’ তসলিমা নাসরিনের লেখা একমাত্র বই নয় যেটি নিষিদ্ধ বইয়ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তার লেখা ‘আমার মেয়েবেলা’, ‘উতল হাওয়া’, ‘দ্বি-খণ্ডিত’, ‘সেই সব অন্ধকার’ বইগুলোও একে একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

বই লেখার জন্য তাকে বেশ কয়েকবার হত্যার হুমকি দেয় বিভিন্ন উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। অবশেষে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে তসলিমা নাসরিন বহু বছর ধরে প্রবাসে জীবন যাপন করছেন। 

কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নার কালো বন্যায় (কবিতা, দাউদ হায়দার) 

এটি ঠিক বই না হলেও, এই তালিকায় উল্লেখ করা যেতে পারে এ কারণে যে সালমান রুশদি মতো হত্যার হুমকির শিকার হয়েছিলেন এই কবিতার লেখক দাউদ হায়দার। হুমকি থেকে বাঁচতে এক পর্যায়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। 

এই কবিতাতে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ), যিশুখ্রিস্ট এবং গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি করার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় আদালতে। একই অভিযোগে ১৯৭৪ সালে গ্রেপ্তার হন তিনি। সে বছরই ২১ মে তৎকালীন সরকার তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। 

ধারণা করা হয়, সরকার তখন আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিম সরকারদের সাহায্য হারাতে চায়নি বলেই দাউদ হায়দারকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। 

দেশ ছাড়ার পর গত প্রায় চার দশক ধরে জার্মানিতে বসবাস করে আসছেন দাউদ হায়দার। 

image


ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড (অ্যালডাস হাক্সলি) 

শোষণের ভিত্তিতে গড়ে তোলা সমাজে মানুষ কৃত্রিম সুযোগ-সুবিধার ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়লে কী হতে পারে, তারই গল্প ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড। ‘ধর্ম ও গতানুগতিক পরিবার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে’ মন্তব্যের জন্য বইটি আয়ারল্যান্ডে নিষিদ্ধ করা হয়। অন্যদিকে হাক্সলিকে ‘পর্নোগ্রাফার’ আখ্যা দিয়ে ভারতে এটি নিষিদ্ধ করা হয় অল্প বয়স থেকে যৌন সংসর্গ চর্চা করতে উৎসাহিত করার জন্য। 

বইটির পটভূমি রচিত হয়েছে সুদূর ভবিষ্যতের ২৫৪০ সালের ‘ওয়ার্ল্ড স্টেট’কে কেন্দ্র করে, যেখানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত শিশু জন্ম দেয়া হয়। এসব শিশু জন্ম থেকেই কিছু নির্দিষ্ট মূল্যবোধে বিশ্বাস করে ও তাদেরকে নির্দিষ্ট সামাজিক শ্রেণির ভিত্তিতে বড় করা হয়। সমাজের সবাইকে নিয়মিত যৌন সংসর্গ ও ‘সোমা’ নামের মাদকদ্রব্য গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়, যা তাদেরকে সুখী রাখবে। 

খাবার, মাদক, যৌন সংসর্গ ও ভোগ ওয়ার্ল্ড স্টেটের মানুষকে হয়তো সুখী করে, কিন্তু এর মূল্য তাদেরকে দিতে হয় নিজেদের স্বাধীনতা দিয়ে। সুখ ও স্বাধীনতার মধ্যে কোনটি বড়, সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে বইটিতে। 

image


অ্যানিম্যাল ফার্ম (জর্জ অরওয়েল) 

কমিউনিজমের নির্মম দিকগুলো নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগে এই বইটিকে স্টালিনের শাসনকালে সোভিয়েত ইউনিয়নে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। স্টালিনের অভিযোগ ছিল, বইটিতে তাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। বার্লিন ওয়ালের পতনের পরও বহুদিন পর্যন্ত বইটি নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি, এখনও কিউবা ও উত্তর কোরিয়ায় এটি নিষিদ্ধ। 

অন্যদিকে কেনিয়ায় এটি নিষিদ্ধ হয় দুর্নীতির সমালোচনা করার জন্য। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এই বইটিকে স্কুলের শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ করে কথা বলা শূকর চরিত্র দেখানোর কারণে। তাদের দাবি, এটি তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। 

অ্যানিম্যাল ফার্মের কাহিনী শুরু হয় মিস্টার জোনসকে দিয়ে, যাকে হটিয়ে ফার্মের ক্ষমতা দখল করতে চায় ওল্ড মেজর নামের এক শূকর। তবে হঠাৎ করে ওল্ড মেজরের মৃত্যু হলেই শুরু হয় বিপত্তি। 

এক পর্যায়ে নেপোলিয়ন ও স্নোবল নামের দুই শূকর ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছালেও, তাদের মধ্যে কে নেতা হবে তা নিয়ে শুরু হয় বিতণ্ডা। স্নোবলকে তাড়িয়ে দিয়ে নেপোলিয়ন ফার্মের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠে, আর সব ভুলের জন্য দায়ী করে স্নোবলকে। 

অবস্থা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায়, যখন শূকরেরা মানুষদেরকে সরিয়ে মানুষের জায়গা দখল করে এবং প্রাণী ও মানুষের মধ্যে সব পার্থক্য মুছে যায়। 

বইটিতে অরয়েল দেখাতে চেয়েছেন কী করে অত্যাধিক ক্ষমতা ও এর অপব্যবহার দুর্নীতির জন্ম দেয়। বিতর্কের কারণে তার ‘১৯৮৪’ বইটিও নিষিদ্ধ হয়েছিলো। 

image


ললিতা (ভ্লাদিমির নবোকভ) 

পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় নিষিদ্ধ বই ললিতা। তবে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে এটির বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। ভয়ঙ্কর কিছু পড়ার আশা নিয়ে যারা বইটি পড়তে যান, তাদের অনেককেই হতাশ হতে হয়। 

হত্যা মামলার আসামী হাম্বার্ট হাম্বার্ট আদালতে বিচারকের সামনে যা বলেছেন তেমনি করেই বর্ণিত হয়েছে বইটির কাহিনী। নিজের প্রেমাষ্পদ পালিয়ে যাবে অন্য কারো সাথে, এটা সহ্য হয়নি বলেই তাকে খুন করার চেষ্টা করে সে। বিচারকের সামনে হাম্বার্ট হাম্বার্ট তুলে ধরে বিরল অথচ সাধারণ মানুষের কাছে ঘৃণিত আর অগ্রহণযোগ্য এক কাহিনী। 

বইটিতে মূলত বিংশ শতাব্দীতে অ্যামেরিকান মূল্যবোধ নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। ‘কামোদ্দীপক’ হওয়ার যে অভিযোগ বইটির বিরুদ্ধে রয়েছে, সে ধরণের অনুচ্ছেদের সংখ্যা বইটিতে খুবই কম। বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। 

image


দ্য কালার পার্পল (অ্যালিস ওয়াকার) 

এই বইটি ১৯৮৩ সালে পুলিৎজার পুরস্কার জেতে। তবে বর্ণবাদ, ধর্ষণ, যৌনতা, সমকামিতা, নিপীড়ন এসবের উল্লেখ থাকায় বইটি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। 

পুরো উপন্যাসটি লেখা হয়েছে চিঠিতে। ১৪ বছর বয়সী বালিকা সেলি ঈশ্বরের কাছে চিঠি লিখে জানায় তার মনের সব গোপন কথা। পরে ছোট বোনের কিছু চিঠি খুঁজে পেয়ে সেলি ঈশ্বরের পরিবর্তে বোনকে উদ্দেশ্য করেই চিঠি লিখতে শুরু করে। 

বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে বইটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আঞ্চলিক বাক্যরীতি, বানান ভুল ও ব্যাকরণগত ভুল, যার কারণে বইটি পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে এটিই এর কাহিনীকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। 

বইটিতে ১৯৩০-এর দশকে অ্যামেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের জীবনযাপন দেখানো হয়েছে। অশ্লীল ও অসামাজিক হওয়ার অভিযোগে বইটি অ্যামেরিকার বিভিন্ন স্কুলে পড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে বইটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি নির্যাতন নিয়ে যে নীরবতার প্রথা ছিল, তা ভাঙতে সক্ষম হয়। তীব্র সহিংসতা ও নির্যাতনকে খোলাখুলিভাবে দেখানোর জন্যও বইটি সমালোচিত।


একাত্তর/এসজে
শুধুমাত্র মিথেই নয় ইংরেজি ক্লাসিক সাহিত্যেও এমন অনেক সম্পর্ক আছে যা যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এসব সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন রকম বন্ধন দেখেছি।
বগুড়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের সীমানা অক্ষুণ্ন রেখে সিটি করপোরেশন ঘোষণার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা এ-সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। 
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পেহেলগামকাণ্ডে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে জমে উঠে বাকযুদ্ধ। নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ থেকে প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে রণহুঙ্কার। ভয়াবহ নেই সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং...
ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জঙ্গিরা কোকেরনাগ জঙ্গল থেকে মনোরম বাইসারান উপত্যকা পর্যন্ত প্রায় ২০ থেকে ২২ ঘন্টা দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়েছিল।
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত