ইতালির ঐতিহ্যবাহী যানবাহন ভেসপা। দেশটির রাজধানী রোমের পথে ঘাটে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে আকর্ষণীয় সব ভেসপা। স্থানীয়রা এটিকে দৈনন্দিন যানবাহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলেও পর্যটকদের মাঝেও ভেসপায় চড়ে ইতালি ভ্রমণ বেশ জনপ্রিয়।
ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ভরা রোমের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো রোমাঞ্চকর। তবে তা আরও নান্দনিক হয়ে যায় যদি যানবাহন হিসেবে সাথে থাকে ইতালির ঐতিহ্যবাহী ভেসপা। রোমের পথে দাঁড়ালেই চোখে পড়বে একের পর এক আকর্ষণীয় সব ভেসপা।
এক পর্যটক বলেন, ভেসপা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই ঘুরে বেড়াতেও অনেক মজা। আমি ভেসপায় ঘোরার সময় রোমের সাধারণ মানুষজন আমাকে দেখে আনন্দ পেয়ে হাত নাড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভেসপা সারাবিশ্বের কাছে ইতালিকে তুলে ধরে। আমি মনে করি, ইতালির যেকোনো জায়গায় ঘুরতে গিয়ে আপনি যদি ভেসপায় না ওঠেন তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি ইতালিই ঘোরেননি।
পর্যটকদের ভেসপায় চড়িয়ে গাইড করেন আলিসিও কাসু। তিনি জানান, এই কাজ পেয়ে তার ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
কাসু বলেন, ৭০ এর দশকে যখন আমি কিশোর ছিলাম তখন থেকেই ভেসপা চালানোর স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু এটা কেনার সামর্থ্য তখন আমার ছিলো না। আর এখন পর্যটকদের ভেসপায় ঘুরিয়ে নিজের শহর দেখাতে আমার খুবই ভালো লাগে।
ইতালির বিখ্যাত গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পিয়াজিও ১৯৪৬ সালে প্রথম ভেসপা স্কুটার বাজারে আনে। এরপর সারা বিশ্বে এই স্কুটার ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইঞ্জিনের শব্দ শুনলে মনে হয়, যেন কোনো বোলতা ওড়াউড়ি করছে। বোলতাকে ইতালির ভাষায় বলা হয় ভেসপা। আর সে নামেই নামকরণ করা হয় স্কুটারটির।
গুইসেপ্পিনা সিয়েরা প্রাচীন গিয়ার চালিত ভেসপা চালিয়ে স্পেন ঘুরতে যাওয়া প্রথম নারী। স্কুটারটি নিয়ে রাস্তায় নামলেই সবার নজর কাড়েন তিনি।
সিয়েরা বলেন, আমি যখনই কোথাও থামি বা কফি খেতে যাই, মানুষজন আমাকে তাদের পূর্বপুরুষের ভেসপা নিয়ে নানা স্মৃতির কথা বলেন। এটা আসলে আমাদের ঐতিহ্য।