বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেই চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মহামারি, যুদ্ধসহ বিশ্বের চলমান পরিস্থিতে আমরা কতোটা প্রস্তুত- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বই অশান্তিতে ভুগছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা একাই শান্তিতে থাকতে পারবো কিনা পারবো না তা বলা মুশকিল। সারা বিশ্বের মানুষ যদি কষ্টে থাকে তাহলে কি শুধু আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো?
তারপরেও আমার দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য যা করার দরকার আমরা চেষ্টা করছি, যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোসহ অন্যান্য সবগুলো বিষয়ে নজর দেয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, একদিকে করোনা মহামারি অন্যদিকে রাশিয়ার যুদ্ধ। আমরা তো বিশ্ব থেকে আলাদা কিছু না। তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারপরেও কেউ যদি ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে আমরা তা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ভারতসহ অন্যান্য দেশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমরা খাদ্য গুদামগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করছি। সবগুলো খাদ্য যাতে ঠিক থাকে তা মনিটরিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাব: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে মাত্র ৩০ টাকা দামে চালের ব্যবস্থা করেছে। যাতে এক কোটির বেশি মানুষ সহায়তা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, যাদের কিছু ছিলোনা, ভাসমান ছিলো আমরা তাদের ঘর করে দিয়েছি। আমরা তাদের নানা ধরনের গবাদি পশুও দিয়েছি। তারা এগুলো পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
একাত্তর/আরএ/এসজে