পদ্মাসেতু পাড়ি দিয়ে রাজশাহী-ঢাকা রুটে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
শুক্রবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এটি পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলকারী তৃতীয় আন্তঃনগর ট্রেন। আগে মধুমতী এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ভাঙ্গায় চলাচল করতো।
পদ্মাসেতু হয়ে ট্রেন চলাচলে উচ্ছ্বসিত রাজশাহী অঞ্চলের বাসিন্দারা। যাত্রীরা জানান, রাজশাহী থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা যাওয়া এটি যেমন সুন্দর ভ্রমণের সুযোগ, তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির প্রকাশ। এর ফলে রাজশাহীসহ পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি, ফরিদপুরের মানুষের জন্য ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আব্দুল করিম বলেন, চলাচলের প্রথম দিনে নয়টি কোচ নিয়ে চলছে ট্রেনটি। এদিন যাত্রী উপস্থিতি ছিল ভালো। সবাই উৎসাহ নিয়ে ভ্রমণ করছে। মধুমতী এক্সপ্রেসে যাত্রীদের আসন রয়েছে ৫৫৮টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির কোচে আসন সংখ্যা ২৪টি। শোভন চেয়ারে ৪৪ এবং শোভন শ্রেণিতে ৪৯০টি। ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত শোভন কোচে ভাড়া ৩৯৫ টাকা, শোভন চেয়ারে ভাড়া ৪৭০ টাকা আর প্রথম শ্রেণিতে ভাড়া ৭১৯ টাকা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বলছে, রাজশাহী থেকে ঢাকার ভ্রমণ আনন্দ ও স্বস্তিদায়ক করতে বর্তমানের যাত্রীবাহী পুরাতন কোচ বদলে জানুয়ারিতে নতুন কোচ দেয়ার চেষ্টা চলছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে দুপুর ২টায় ঢাকা পৌঁছাবে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে দুপুর ৩টায় ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ট্রেনটি বন্ধ থাকবে।
ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালী, খোকসা, পাংশা, কালুখালী, রাজবাড়ী, পাঁচুরিয়া জংশন, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, তালমা, পুখুরিয়া শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে, যাত্রী ওঠা-নামার সুবিধা চালু হলে ভাঙ্গা জংশন স্টেশনেও থামবে।