হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একইসাথে হজযাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির অর্থ না নেয়ার জন্যও তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন না পাঠানোসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে সাবধান করে দেয়া হয়েছে।
গত রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে জুম প্লাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালকের সাথে সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিসের মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সিগুলোর মালিকরা অংশগ্রহণ করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের পক্ষ হতে হজ এজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ।
ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
ওই সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর আগেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। তা না হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে আরো কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে যা জেদ্দা বিমান বন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সাথে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগে কোরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছামাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন কিনে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না।
এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।