বাংলাদেশ যে স্বাধীনভাবে তার পররাষ্ট্রনীতি চর্চা শুরু করেছে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর সেটির বড় উদাহরণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যদি এই সফরকে তাদের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে তাহলে সেটি হবে দুঃখজনক। দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে পরাশক্তিগুলোকে বাংলাদেশ সম্পর্কিত নীতি গ্রহণ করা উচিত বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের কাছে চীন বছরে ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। বাংলাদেশের সড়ক অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে আছে চীনের অংশ গ্রহণ। নানা ক্ষেত্রে দেশটির ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগও চলমান। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আছে চীনের পরাশক্তিগত লড়াই। সেই লড়াইয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে দেশ দুটি তাদের বন্ধু দেশের মধ্যেও চায় মেরূকরণ।
এমন বাস্তবতায় প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীনে আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এই সফরে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে। চিকিৎসা, সামরিক, জ্বালানি, বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও শিল্পখাতের জন্য যাকে আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছে সরকার।
সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে এই সফরকে বিশেষ বার্তা বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব। আর, বিশ্লেষকরা বলছেন এটি দেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি চর্চায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খান ও নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের সাথে ইউনূস সরকারের সম্পর্ক ভাল। তবে অনেকগুলো অমীমাংসিত ইস্যু ও শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের সাথে সম্পর্কটাকে উষ্ণ বলা চলে না। তবে চীন সফর স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির চর্চার উদাহরণ হয়ে উঠবে।
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন চীন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী, শত্রু নয়। ১৯ মার্চ রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে ৫ আগস্টের পর ভারত ভিসা সংকুচিত করায় চীনে ছুটছেন বাংলাদেশিরা।