বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সমস্ত প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ধ্বংস করেছিলো ফ্যাসিস্ট সরকার। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বোরো ধান উঠবে, চালের বাজারে স্বস্তি আসবে। সিএ’র নেতৃত্বে আমাদের মূল লক্ষ্য ইনসাফ প্রতিষ্ঠা। ইতিমধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপর দায় পরিশোধ করা হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি ক্রমান্বয়ে নামছে। ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে মানুষের। গণমাধ্যম গঠনমূলক সমালোচনা করবে গণমাধ্যম আশা করি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চড়া শুল্ক আরোপের চ্যালেঞ্জ ও সরকারের করণীয় বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে একপেশে শুল্ক আরোপ করেছে ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত আছে। সিএ নিজে বিষয়টি দেখছেন, আমরা বারংবার মিটিং করছি। অর্থ উপদেষ্টা নিজে সামনের সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি আছে। একক বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ২.২ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে, বাংলাদেশ ৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে। ঘাটতি প্রায় ৬ বিলিয়ন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেবার দিকটা আমলে নিচ্ছে না। বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমাতে পারি সে বিষয়ে সবার সাথে পরামর্শ করছি। কিছু কর্মসমষ্টি তৈরি করছি। যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে আলোচনা করে আরো নির্দিষ্টকৃত বিষয় চিহ্নিত করবো।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের রপ্তানির কারণে ১ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আয় করে যুক্তরাষ্ট্র। ফ্যাসিস্ট আমলে ভুল নীতির কারণে সামগ্রিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল।