সেকশন

রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
 

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে: আইন উপদেষ্টা

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২০ পিএম

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যে বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে তা হচ্ছে গুম, খুন মানবতাবিরোধী অপরাধ ও বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া অকল্পনীয় ও নৃশংসতম ঘটনাগুলোর সুবিচার নিশ্চিত করা এবং এর পুনরাবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে রোধ করা।

প্রস্তাবিত ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করার সময় তিনি একথা বলেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। খবর বাসসের। 

গুম দেশের মানুষের জাতীয় জীবনে বিশেষ করে গত ১৫ বছরে একটা দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কালে আমাদের তরুণ ছাত্র জনতার অসীম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার একটি সুযোগ এসেছে। সেই সুযোগের কারণেই আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার একেবারে প্রথম দিকেই কোনো কালবিলম্ব না করে গুমসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনে আমরা পক্ষরাষ্ট্র হয়েছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো রিজার্ভেশন ছাড়া এত বড় মানবাধিকার কনভেনশনের আমরা পক্ষরাষ্ট্র হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গুম আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পক্ষরাষ্ট্র হয়েছি কিন্তু আমাদের দেশে গুম সংক্রান্ত বিষয় বিচার করার জন্য কোনো ডেডিকেটেড আইন নেই, এটি হতে পারে না। আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে বিস্তৃত এবং সুসংগঠিত গুমকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে দেখা হলেও এর বাইরে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে গুমের আলাদা কোনো সংজ্ঞা বা তার শাস্তির কোনো ব্যাখ্যা দেয়া নেই। এই শূন্যতাকে দূর করার জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা আমাদের বিশেষজ্ঞ ও আলোচকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুতই এই আইনের একটি খসড়া তৈরি করে যথাযথভাবে তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। 

এ সময় গুম তদন্ত কমিশনের বিষয় তিনি বলেন, কমিশন দিনরাত কাজ করেছে এবং খুব শীঘ্রই তারা তাদের রিপোর্ট জমা দিবেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরবর্তীতে যে সরকার আসবে সে অন্ততপক্ষে এক হাজার জন মানুষের দেয়া রক্তের ওপর তৈরি কাঠামোর ভেতর দিয়ে আসবে। এত হাজার মানুষের আহত হবার স্মৃতি এবং দেশের কোটি মানুষের কান্নার পর এত বড় একটা লিগ্যাসী বহনকারী সরকার আমাদের পর এসে এ সংস্কার গুলো ভুলে যাবেন সেটা আমরা ভাবতেও চাই না।

তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় ও সরকার যে কাজটি করেছেন সেটাই আমরা করছি।  সমস্ত রাজনৈতিক দল ও অংশীদারদের সাথে আলোচনা করছি, সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছি। আমরা দেশের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করতে চাই, যেন কখনোই কেউ আর এ ধরনের অপরাধ করার দুঃসাহস দেখাতে না পারে। 

আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও  সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এহসানুল হক সমাজী, ব্লাস্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আলোকচিত্রী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী ড.শহিদুল আলম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ও প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী, আইনজীবী শিশির মনির, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. সায়রা রহমান খান, গুম  মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিনসহ আরও অনেকে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা আইনটিকে বাস্তবতা নির্ভর ও সময়োপযোগী করে তোলার জন্য নিজেদের মতামত দেন।

আমলযোগ্য, কিন্ত জামিন অযোগ্য ও আপোষ অযোগ্য এই আইনটিতে গুমের শিকার মানুষের ও তার পরিবারের সুরক্ষা, গুমের ঘটনায় সাক্ষ্য দেয়া সাক্ষীদের সুরক্ষা, তদন্ত সংস্থা গঠন, তদন্ত সংস্থার কাজে গুম সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য লাভের অধিকার সংরক্ষণ, অপরাধীর শাস্তি ও আপিলের বিধান, সাক্ষ্য লোপাট অথবা নষ্ট করার শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ে সংস্কার ও সংযোজনের জায়গাগুলো তুলে ধরেন উপস্থিত বক্তারা।

আরবিএস
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
গেলো কয়েকদিন ধরেই ‘টক অব টাউন’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন। একটা পর্যায়ে জানা যায়, ক্ষোভ ও হতাশা থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চাইছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজ করতে না পরালে সেই দায়িত্বে থাকা প্রাসঙ্গিক নয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথাই আবার তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শেখ হাসিনার আমলে হওয়া সকল নির্বাচনকে আইনগতভাবে অবৈধ ঘোষণার জন্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে চলতি বছরের সিপিএল গ্লোবাল এক্সিলেন্স লিডারশিপ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।
সংস্কারের রূপরেখা ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত