চলতি মাসে দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই বৃষ্টিপাত হবে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুরে বৃষ্টির মাত্রা বেশি হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারাদেশে যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে তাতে গরমের তীব্রতা কমবে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে হতে পারে অতি বৃষ্টি।
পাশাপাশি চলতি মাসের শেষ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপ সৃষ্টি হবে সেটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। তবে, এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের জন্য শঙ্কার কোন কারণ হবে না বলেই মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আকাশে জমতে শুরু করেছে মেঘ। জানান দিচ্ছে বর্ষা আসছে। বর্ষার আগমনীতে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরী হবার শঙ্কা আছে। যা প্রতি বছর বর্ষার আগে একটি নিয়মিত ঘটনা।
চলতি মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ শক্তি সঞ্চয়ের আগেই শুরু হচ্ছে বর্ষা। ফলে এই ঘূর্ণিঝড় খুব বড় হবার শঙ্কা কম বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদ।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল কবির খান বলেন, সেই ঘূর্ণিঝড়টি কোন কোন দেশের কোন উপকূলে আঘাত হানবে, এটির শক্তিই বা কেমন হবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৬ মে থেকে ২২ মে-র মধ্যে আন্দামান উপকূলে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে। ২৩ মে থেকে ২৮ মে-র মধ্যে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি'-তে রূপান্তরতি হতে পারে।
যদি ঘূর্ণঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ে তাহলে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা প্রভাবিত হবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের খুলনা এবং চট্টগ্রামেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা চলতি মে মাসের শেষ সপ্তাহে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য সময়সীমা ২৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত।
এই সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূল এবং মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।