আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনার এই বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা।
তিনি আরও বলেন, এই আদালত এমন একটি সময়ের সাক্ষ্য বহন করছে, যা ইতিহাসে দলিল হয়ে থাকবে। আমরা চাই এ বিচার নিরপেক্ষ, প্রমাণ নির্ভর ও ন্যায়ভিত্তিক হোক।
রোববার (১ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অভিযোগপত্র উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই বিচারকাজ বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযোগের সপক্ষে আদালতে বেশকিছু সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করবে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শী ও জীবিত ভিকটিমদের সাক্ষ্য ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ, ড্রোন এবং সিসিটিভি ফুটেজ, আসামিদের মধ্যে কথপোকথনের অডিও কল রেকর্ড, ডিজিটাল এভিডেন্সের ফরেনসিক রিপোর্ট, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্য ছবি এবং ফুটেজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত তথ্যচিত্র।
এর আগে শনিবার (৩১ মে) তিনি জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হবে। বিচার এমনভাবে করা হবে কেউ যেন মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হয়।