বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে জন্ম নেয়া শিশুর পিতৃত্ব অস্বীকার করছেন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর চার মাসের শিশুটিকে নিয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন ভুক্তভোগী নারী।
ওই নারীর অভিযোগ, পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মহিউদ্দিন ফারুকীর সাথে সম্পর্কের পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে বিয়ে করেন ফারুকী। কিন্তু বিয়ের দেড় মাসের মাথায় তালাক দিয়ে শিশুটির পিতৃত্ব অস্বীকার করছেন তিনি।
ফুলের মতো শিশুটি বাবা মায়ের যে ভালবাসার আলোয় আলোকিত হয়ে পৃথিবীতে এসেছে, সেই আলো এখন যেনো পরিণত হয়েছে কালো অন্ধকারে। কারণ জন্মদাতা বাবা শিশুটির পিতৃত্ব অস্বীকার করছেন।
বিয়ের আগে পুলিশ কর্মকর্তার সরকারি অফিসের বিশ্রাম কক্ষে একান্তে সময় কাটানোর ছবি একাত্তর টেলিভিশনের হাতে এসেছে। ছবিতে থাকা এক নারীর দাবি তিন বছর ধরে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মহিউদ্দিন ফারুকীর সাথে তার সম্পর্ক ছিলো।
মহিউদ্দিন ফারুকী ওরফে কাজলের সাথে সেই নারীর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা থেকে বোঝা যায় তার বডিগার্ড ও গাড়িচালক প্রায়ই তাকে বাসা থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে নিয়ে যেতেন। যেহেতু সরকারি গাড়িতে ফারুকী নিজেই থাকতেন তাই দর্শনার্থী বইয়ে নাম লিপিবদ্ধ করা হতো না।
এক পর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ফারুকী তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের দেড় মাসের মাথায় তাকে আবার তালাকও দেন ফারুকী। ওই নারী ও ফারুকীর কথোপকথন থেকে জানা যায় ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ফারুকী এই বিয়েটি করেছিলেন।
শুধু তালাক দিয়েই শেষ করেননি। শিশুটির বাবা হিসেবে যাতে মহিউদ্দিন ফারুকীর নাম ব্যবহার করা না হয়, সে জন্য আদালত থেকে এক তরফা একটি রায়ও নিয়ে এসেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কেউ দোষী হলে তার দায় নেয়া হবে না। আর বিষয়টি বিচারাধীন দোহাই দিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি মহিউদ্দিন ফারুকী।
মহিউদ্দিন ফারুকী এবং ওই নারী দুজনেরই স্বামী ও স্ত্রী থাকার পরও তারা বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। আর তাদের এমন কর্মকাণ্ডের বলি হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুটি।
আরও পড়ুন: আসছে বাজেটে ঠকবে না ব্যবসায়ীরা, লাভ হবে সরকারেরও: অর্থমন্ত্রী
ভুক্তভোগী নারীর দাবী, এই সন্তানের আগেও ফারুকীর সাথে সম্পর্কের জেরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। কৌশলে ওষুধ খাইয়ে পরে সেই ভ্রূণ হত্যা করেছিলো পুলিশ সদর দপ্তরের সাপ্লাই ও লজিস্টিক বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক হিসাবে দায়িত্বে থাকা মহিউদ্দিন ফারুকী।