রাজধানীর মিরপুরে স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাটের অতিরিক্ত মূল্যকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে চার সপ্তাহের রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।
স্বপ্ননগরের ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাওয়াদের পক্ষ থেকে করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রুল দেয়া হয়।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল দেন। সেই সঙ্গে ২৮ মাস দেরির জন্য হিসাব করে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় এক হাজার ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য ২০১৫ সালে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেখানে ১৫০০ বর্গফুট ফ্ল্যাটের জন্য ৬৪ লাখ, ১৩০০ বর্গফুটের জন্য ৫৮ লাখ ও ৮০০ বর্গফুটের জন্য ৩৪ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ বলা হয়। এরপর আবেদনের মাধ্যমে প্রাথমিক বরাদ্দ দেয়া হয়। বলা হয় ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু তা না দিয়ে ২০২১ সালে ২৮ মাস পরে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু এখন ১৫০০ বর্গফুট ফ্ল্যাটের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ১৪ লাখ, ১৩০০ বর্গফুটের জন্য প্রায় ১০ লাখ ও ৮০০ বর্গফুটের জন্য ১০ লাখেরও অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় জমির বিরোধে হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
স্বপ্ননগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্বল্প ও মধ্যবিত্তের জন্য এই প্রকল্প করার কথা বলে শেষ মুহূর্তে শতকরা ১৭ থেকে ২৬ ভাগেরও বেশি টাকা দাবি করছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
তারা জানান, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন এই অতিরিক্ত মূল্য প্রথম থেকেই নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু তারপরও প্রসপেক্টাস ও বরাদ্দপত্রে কেন কম টাকা উল্লেখ করা হয়েছিল তার কোন সদুত্তর গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ দেননি।
একাত্তর/এসি