বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালা বদল এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ভিসা বন্ধের প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের দুই বাংলার লালন মেলায়।
রাজ্যটির উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের খাস বালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে ১১তম লালন মেলা শুরু হলেও সেখানে অনুপস্থিত বাংলাদেশের লালন অনুসারী ও বাউলরা। বিভিন্ন ঘটনার কারণে বাংলাদেশ থেকে লালন সুফি গানের শিল্পীরা এবার মেলায় অংশ নিতে পারেনি।
বাংলাদেশের লালনদের অনুপস্থিতিতে বিষাদের সুর সুন্দরবনবাসী থেকে শুরু করে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর গলায়। তারা বলছেন, দুই বাংলার সংস্কৃতি কৃষ্টি-কালচার বাংলা আউল বাউল ও সুফি গানের মধ্যে কোনো একটা মিল খোঁজার চেষ্টা করতাম এই মেলায়।
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ওপার বাংলার বাউল শিল্পী না আসায় কোনো একটা আক্ষেপ তো লাগে, আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে সাতদিন ধরে চলা এই মেলা দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন ওপার বাংলার শিল্পীদের গলায় লালন ফকিরের গান শুনতে। সেখানে দাঁড়িয়ে এবারের মেলায় যেন কেমন একটা মনে হচ্ছে মেলা প্রেমীদের কাছে। তাই সব মিলিয়ে সবারই আশা দুই বাংলার সমস্যার সমাধান দ্রুত সমাধানে আসুক এবং দুই বাংলার সংস্কৃতি আবার যেন শুনতে পায় দুই বাংলার সংগীত প্রেমীরা।