নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে নিজের শ্যালকের পক্ষে সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপ কেন ‘বেআইনি’ ঘোষণা করা হবে না এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রিটে প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন সিংড়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করে নতুন করে তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মো. আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি এ রিট দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটির শুনানির জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে। নিজের শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবীব রুবেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতিয়ে আনতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার শ্যালকের ঘনিষ্ঠদের হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন থাকেন কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন।
গত রোববার সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল। এর ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম হয় অপহরণ ও মারধরের শিকার দেলোয়ারের।
ওই দিন সকালে এক ভিডিও বার্তায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন রুবেল। এর কয়েক ঘণ্টা পর দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে লিখিত আবেদন করেন তিনি। আবেদনে ‘ব্যক্তিগত ও পারিবারিক’ কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
সোমবার বিকেল চারটা পর্যন্ত মনোনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন দেলোয়ার।