ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরো যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, শুরু থেকেই পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত ছিলো। মামলার পর আমাদের ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কাছে ছয় জন ছাত্রকে সোপর্দ করেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিছু ফাইন্ডিংস আমাদের জানিয়েছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রেখে বাকি যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন ৩২ বছর বয়সী তোফাজ্জল হোসেন মারধরের শিকার হন। পরে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আর এ ঘটনায় আট ছাত্রের সংশ্লিষ্টতা পেয়ে তাদের বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপ কমিশনার তালেবুর বলেন, আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্তে যদি আরো কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়- তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
যেসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছে, তাদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তালেবুর বলেন, যারা এখনো অনুপস্থিত, আপনারা জানেন আমাদের কিছু আইন ও বিধির মধ্যে চলতে হয়। চাকরিতে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। সেই নিয়ম-কানুন বিধি অনুযায়ী যদি কেউ বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে চাকরিবিধি মেনে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, ঢাকার ২২টি থানা আংশিক বা পরিপূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, সব মিলিয়ে ২১৬টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি অল্প সময়ে সংস্কার করে আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার। আমরা সীমিত রিসোর্সের মাধ্যমে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি জনজীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।