সহপাঠীদের বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে নতুনবাজার সড়ক অবরোধ করা ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের ওপর বল প্রয়োগ করেও সড়ক থেকে সরাতে পারেনি পুলিশ। ধস্তাধস্তির পর এবার সড়কে বসে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে আটটার দিকে দিকে তারা কুড়িল বিশ্বরোড-বাড্ডা সড়কে অবস্থান নেন। এতে পুরো প্রগতি সরণীতে (কুড়িল-বাড্ডা-রামপুরা-বনশ্রী) যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কুড়িল বিশ্বরোড-নদ্দা হয়ে রামপুরগামী লেনটি বন্ধ থাকলেও রামপুরা থেকে কুড়িলগ্রামী লেনটি খোলা রয়েছে।
পরে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বুঝিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে চাইলেও তারা যেতে রাজি হন নাই। এসময় শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না।
এরপরই পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তাদের রাস্তা থেকে সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দুই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে কিছু সময় রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও আবারও রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের যৌক্তিক ১৩ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করে আসছে। উল্টো আন্দোলন দমন করতে বহিষ্কার করা হচ্ছে। গত ২ জুন ৪১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ী ও ১৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বাকি একজনকে সতর্কবার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।