শেরপুরের শ্রীবরদীতে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু (১৩) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শুভ মিয়াকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ওই আসামির নিজ এলাকা জালকাটায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শুভ ওই এলাকার ইয়াছিন ওরফে নতুগুনের ছেলে।
জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর বাবা শহিদ শেখ তার স্ত্রী দুলানীকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় থাকেন। আর তাদের ১৩ বছরের কন্যা সন্তানকে জালকাটা গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে রেখে পড়াশোনা করার দায়িত্ব দেন শিশুর নানীকে।
এদিকে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যাতায়াতের সময় বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে কুপ্রস্তাব দিত জালকাটা এলাকায় বাসিন্দা ইয়াছিন নতুগুনের ছেলে শুভ। এতে ওই শিক্ষার্থী তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে নানীকে সব খুলে বলে। পরে নানী শুভকে ডেকে নিয়ে তার পরিবারকে সর্তক করে দেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই শিশু পানি নেওয়ার জন্য টিউবওয়েল পাড়ে যায়। এসময় বাড়ির পাশে কলাবাগানে ওঁৎ পেতে বসে থাকা শুভ পেছন থেকে শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে পাশেই বাঁশঝাড়ের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা শহিদ শেখ (৩৫) বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০জনকে আসামি করে গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) শ্রীবরদী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামী করা হয় জালকাটা এলাকার ইয়াছিন ওরফে নতুগুনের ছেলে শুভ মিয়াকে (১৮)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভবনে বিস্ফোরণে একজন নিহত, আহত দুই
মামলার পর থেকে পলাতক ছিল আসামি শুভ মিয়া। শনিবার রাতে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের দিকনিদের্শনায় শ্রীবরদী থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই তাহেরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জালকাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুভ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, প্রধান আসামি শুভ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
একাত্তর/এসজে