আজ ১৫ আগস্ট, বাঙালি জাতির শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এদিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে ঘাতকদের হাতে রচিত হয় বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে নির্মমতম ঘটনা। এ দিনে সপরিবারে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
৩২ নম্বর বাড়িতেই সেই রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল।
ঘাতকদের বুলেটে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগনে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ খান রিন্টুসহ আরও অনেকে। দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
প্রতি বছরই এই শোকের দিনে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণ করে পিতা হারানো এই হতভাগ্য জাতি। সারাদেশে দিনভর চলে শোকের মাতাম।
এরই অংশ হিসেবে, ফরিদপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির পক্ষে নগরকান্দায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেছেন তার রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু।
এ সময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একটি শোক র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রাজবাড়ীতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ৯ টায় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নির্মিত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকীম এমপি, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান । এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পন করে।
এর আগে সকালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, কালো পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সিলেটে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন এর মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বসাধারণের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সবাইকে দেশে এনে রায় কার্যকর করার দাবী জানান সাধারণ মানুষ।
রাঙ্গামাটিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতীয় শোক দিবস পালন করছে।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
সকালে রাঙ্গামাটি বঙ্গবন্ধু মুর্যালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন অফিস, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মেহেরপুরে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯ টার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ডঃ মুনছুর আলম খান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির পক্ষ থেকে প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ খালেক, সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীনসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর একে একে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ, সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এছাড়া দিবসটি ঘিরে দিনব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলেচনা সভা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
খুলনায় বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদত বার্ষকীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে জাতির জনকের ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে হাজারো মানুষ। খুলনা আওয়মী লীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন করেছে শোকসভা। খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন , বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন খুনী জিয়া, তিনিই খুনিদের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বুলি আওরানো কিছু দেশের সরকারের কারণে এখনো বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করা যায়নি।
ওইসব দেশের নাগরিকদের প্রতি তিনি আহবান জানান, খুনীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেবার জন্য সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে। একটি জাতির পিতাকে যারা হত্যা করে আর সেই হত্যাকারীকে কোন সভ্য দেশ দিনের পর দিন আশ্রয় দিয়ে রাখলে তাদের দেশেরই বদনাম হবে।
নরসিংদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জয়বাংলা চত্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুখ খান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, সিভিল সার্জন ডা: নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া জেলার সকল উপজেলা ও পৌরসভায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলের শুভেচ্ছা জানান সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ হাজারো জনতা। তাছাড়া দিনব্যাপী বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ সকল সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হবে দিবসটি।
ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু মু্রালে শোক দিবসে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ডিআইজি ময়মনসিংহ রেন্স দেবদাস ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ সিটি মেয়র, জেলা পরিষদ প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আওয়ামী লীগ, স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা সহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গাজীপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে সকালে জেলা প্রসাশক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমেই পুস্পস্তবক অর্পণ করে করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ বিভাগ, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও রাজনৈতিক- সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ অর্পণ করেন।
নেত্রকোণাতেও সারাদেশে ন্যায় নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। জেলার দশ উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রশাসন, আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়াও শোক র্যালী,আলোচনা সভা,চিত্রা অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
সোমবার সকাল ৯ টায় নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে চেতনা বাতি ঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের হত্যার সাথে জড়িত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসীর রায় কার্যকরের দাবী জানান শ্রদ্ধা জানাতে আসা আওয়ামীলীগ নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের টেংকের পাড় থেকে একটি শোক র্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
এছাড়াও শোকাবহ এই দিনটি পালনে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে আলোচনা সভা, বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল/ প্রার্থনা শেষে দুঃস্থদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাগেরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বর্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল ৯টায় বাগেরহাট কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান পুস্পস্তবক অপর্ণ করেন। এর পর পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক,জেলা আওয়ামী লীগ,বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্যের পক্ষে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন, প্রেসক্লাব, স্বাস্থ্য বিভাগ, সুন্দরবন বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সমাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অপর্ণ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের নেতৃত্ব শহরে একটি শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে শহরের শালতলাস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়মে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাগেরহাটে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা,রচনা প্রতিযোগীতা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নামে গাছের চারা রোপন করা হয়। খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতাল, জেলা কারাগার, শিশুসদন, এতিমখানা, সেফহোমে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।
বরিশালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে ও কালো পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় শোক দিবস পালন করছে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ। সকাল দশটায় নগরীর সোহেল চত্বরে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ও শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।
প্রথমে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ শ্রদ্ধা জানান। এরপর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুচ শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন।
চট্টগ্রামে শোকাবহ পরিবেশে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকেও প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো। এর আগে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় শিল্পকলা থেকে শোক র্যালি বের হয়। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
জয়পুরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস নানান ভাবে পালিত হচ্ছে।
সকাল ৯টা শহিদ ডাক্তার আবুল কাশেম ময়দানে জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন, জয়পুরহাট -১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শামসুল আলম দুদু এমপি, জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম পুলিশ সুপার মাসুম আহ্মেদ ভূঞাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পন করে।
এর আগে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, কালো পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রংপুরে নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। সকাল ১১টায় জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু ম্যূরালে গার্ড অব অনার ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এছাড়াও জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। দিনটি উপলক্ষে সরকারী বে-সরকারী সায়িত্ব শাষিত অফিসে আলোচনাসভা মিলাদ মাহফিল ও কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত করা কালো পতাকা উত্তোলন করা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্যে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ দিবস ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। সকালে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দলীয় কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোঃ আব্দুল ওদুদের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি বের করে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক, শ্রমিকলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাঃ জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ রুহুল আমিন, দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রেজা ইমন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মোখলেসুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাহিদ শিকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফ জামান আনন্দ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল আওয়াল গনি জোহা, সাধারণ সম্পাদক ফাইজার রহমান কনকসহ অন্যরা।
এর পর জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনাসভা, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহে নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। এ দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্দোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়, দলীয় ও শোকের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে দলীয় কার্যালয় চত্তর থেকে একটি শোক র্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেরনা একাত্তর চত্তরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এরপর সকাল ৯ টার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পামাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
সেসময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ফেনীতে প্রতিবছরের মতো যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকালে জেল রোডস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ফেনী জেলা আওয়মীলীগের সাধারন সম্পাদক সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভা, মসজিদসমূহে বাদ যোহর বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার। এছাড়া দুপুরে ফেনীর প্রত্যেক উপজেলায় কাঙালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
পটুয়াখালীতেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী বিভাগ, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন বিনম্র শ্রদ্ধা জানান জানির জনকের প্রতি।
সকাল সাড়ে সাতটায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তেলনের মধ্য দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের কর্মসূচী শুরু হয়। সকাল আটটায় স্থানীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন পুষ্প স্তবক অর্পন করেন। পর্যায়ক্রমে জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ প্রশাসক, পৌরসভার মেয়র, জেলা আওয়ামীলীগসহ অন্যান্যরা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এর আগে আওয়ামীগ শোক র্যালী করে শহরে।
এছাড়া দুপুরে শহরের সকল মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপসানলয়ে জাতির জনকের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হবে।
নীলফামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে।
আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি ও বেসরকারি এবং আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
এরপর সকাল ৯টায় জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে স্বাধীনতার মহনা স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুস্পস্তবক অপর্ণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জানানো হয়।
যশোরে যথাযোগ্য মর্যদায় যশোরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সর্ব বৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে যশোরের সর্বস্তরের মানুষ। আজ সকাল ৮টায় শহরের বকুলতলাস্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মো: তমিজুল ইসলাস খান ও যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহম্মেদ। এরপর পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের পক্ষে ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আজ সারাদিন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় আলোচনাসভা, দরিদ্রভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
নোয়াখালীতে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া, মোনাজাত ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
সকালে মুজিব চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ। এছাড়া চাটখিল উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম।
একাত্তর/এসএ