বাগেরহাটের শরণখোলায় পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে টাইফয়েড আক্রান্ত এক রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে তার ফার্মেসী সিলগালা করে দিয়েছেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন বগী গ্রামে।
ইনজেকশন পুশ করার পর অসুস্থ বোধ করায় রুমানা বেগম নামের ওই রোগীকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন রুমানা বেগমের ভাই আলফু জানান, তার বোন রুমানা টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ তাওহিদুল ইসলামের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) চালিতাবুনিয়া বাজারে সুন্দরবন ফার্মেসীতে স্কয়ার কোম্পানির সেফট্রন ইনজেকশন কিনতে যান। ফার্মেসী মালিক পল্লী চিকিৎসক নিয়াজ মুন্সি সেফট্রনের পরিবর্তে এসকে-এফ কোম্পানির তৈরি ট্রাইজেক্ট ইনজেকশন রুমানা বেগমকে পুশ করেন যা ছিলো মেয়াদোত্তীর্ণ।
তিনি আরও জানান, এতে রুমানা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে পরদিন সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায়, ইনজেকশনের গায়ে উৎপাদনের তারিখ মে ২০১৯ এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ জানুয়ারী ২০২২ লেখা রয়েছে।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. তাওহিদুল ইসলাম জানান, রোগীর চিকিৎসা চলছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, অভিযুক্ত সুন্দরবন ফার্মেসীর মালিক নিয়াজ মুন্সিকে তার ফার্মেসীতে পাওয়া যায়নি। তবে তার ফার্মেসীটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
একাত্তর/জো