রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হলের 'বারান্দা' থেকে নিচে পড়ে এক শিক্ষার্থী রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন রাবি শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে শাহরিয়ার নামের ওই শিক্ষার্থী পড়ে যান বলে জানান হলের শিক্ষার্থীরা।
পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দুই চিকিৎসককে মারপিট ও হাসপাতালে ভাংচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর জানান, আহত শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। তবে ওই শিক্ষার্থী কিভাবে পড়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি।
জানা গেছে, নিহত শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, শাহরিয়ার হলের তৃতীয় ব্লকের পূর্ব কর্নারের ৩৫৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তবে তিনি পশ্চিমপাশ থেকে পড়ে যান। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। তবে তিনি কিভাবে পড়েছেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এদিকে, রামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসা অবহেলার হাসপাতালে ভাংচুর ও দুই চিকিৎসককে মারপিট করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, আহত শাহরিয়ারকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসায় অবহেলা করেছেন চিকিৎসকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, আইসিইউতে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক নার্সদের অপসরনসহ বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চলবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা যুবকের সপরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা
এদিকে, রাজশাহী পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, ছাত্রদের বোঝানের চেস্টা চলছে ও রাবি উপাচার্যকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য বলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে র্যাব উপস্থিত হয়েছে।
একাত্তর/এসজে