নাটোরে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের পর মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
দেলোয়ার হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. রওশন আরা বলেন, রোগীর মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ব্রেইন হামারেজ হয়েছে কিনা তা সিটিস্ক্যান করা প্রয়োজন, সেকারণে তাকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। তবে ইনজুরি মার্ক দেখে রোগীকে সিরিয়াস ইন্টারনাল ইনজুর্ড বলে মনে হয়েছে।
অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় একমাত্র প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করছেন দেলোয়ার হোসেনের পরিবার। লুৎফুল হাবীব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার জানায়, অনলাইনে আবেদনের পর সেখান থেকে ফিরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন দেলোয়ার হোসেন। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা কয়েকজন লোক তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধরক মারপিট করে বাড়িতে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন।
দেলোয়ার হোসেনের বড় ভাই এমদাদুল হক বলেন, নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায় লুৎফুল হাবীব রুবেলের সন্ত্রাসী বাহিনী মোহন ও তার লোকজন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। অবস্থা খারাপ দেখে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমরা আমার ভাইয়ের ওপর হামলার বিচার চাই।
নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পরপরই সিংড়া যায় পুলিশের টিম। ভিকটিম দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অপহরণের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যলোচনা করে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, অনলাইনে প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন মনোনোয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থী অপহরণ হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, সন্ধ্যায় খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তবে কারা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করেছে তা তিনি জানেন না।