টানা দুই মাস মাছ ধরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞায় কক্সবাজারের জেলেদের পরিবারে চরমভাবে অভাব ভর করেছে। কাজহীন পড়ে থাকায় সংসারে খাবার, সন্তানদের পড়াশোনা সব কিছুই বন্ধ এখন।
মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার পর অভাবের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জেলে আব্দুস শুক্কুর। ঘরে রান্না হয়নি দেখে সাগরে কিনারায় মাছ ধরতে যায় তার দুই শিশুপুত্র। সেখানে সাগরের গভীর পানিতে ভেসে যেতে থাকে বড় ভাই, তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারা যায় ১০ বছরের ছোট ভাই সিফাত।
সপ্তাহখানেক আগের এ ঘটনায় সন্তানহারা পিতার বিলাপ আর আক্ষেপ থামছে না। বললেন, ঘরে অভাব দেখে মাছের জন্য গিয়েছিল দুই সন্তান। কিন্তু এক সন্তান আর ঘরে ফিরেনি।
কক্সবাজারের জেলে পাড়ায় এমন মৃত্যুর ঘটনা আর না থাকলেও ঘরে ঘরে অভাবের গল্প একই রকম।
সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ, তাই কাজকর্ম ছাড়া সংসার টানবেন কি করে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বললেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় ৬৪ হাজার ৩৫৩ জন নিবন্ধিত জেলেকে ৮৬কেজি করে চাল দেবেন তারা।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজামান বলে, পরিবার প্রতি ৮৬ কেজি চাল থাকে। চাল দুই ধাপে আসে। প্রথম ধাপে আসে ৫৬ কেজি। এটার বরাদ্দ আমরা ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছি। ৩৫৩৮ মেট্রিকটন চাল কক্সবাজারের জন্য এবং মোট জেলে ৬৩১৯৩ জন।
তবে সরকারি এই সামান্য সাহায্যের বাইরে থাকবেন আরো প্রায় এক লাখ জেলে। কারণ এখনো তাদের নিবন্ধন হয়নি।