শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুট দিয়ে আজও ফিরেছে ঢাকামুখী মানুষ। তবে ঘাট দুটিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম থানায় ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছে মানুষ ও যানবাহন।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে একাত্তরের প্রতিবেদক জসিম উদ্দিন দেওয়ান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে সোমবার সকাল থেকে ১১টি ফেরিতে করে যানবাহন পারাপার করছেন কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল হোসেন জানান, ঘাটে যাত্রী বা যানবাহনের কোনো চাপ নেই। পারাপারের জন্য যেসব গাড়িগুলো ঘাটে আসছে, স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো পারাপার হয়ে যাচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ২১ জেলার কিছু কিছু মানুষ ব্যক্তিগত প্রয়োজন দেখিয়ে ফেরিতে চড়ে ঢাকা আসছেন।
রাজবাড়ী থেকে একাত্তরের প্রতিবেদক মেহেদী হাসান জানান, আজও কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছে মানুষ। তবে তেমন একটা ভোগান্তি নেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। সোমবার সকাল থেকেই বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘাটে আসছে ঢাকামুখী দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের মধ্যে আসবে আরও ৫৪ লাখ টিকা
কোনো প্রকার ভোগান্তি বা বাধা ছাড়াই ফেরিতে উঠে নদী পার হতে পারছেন তারা। তবে ঘাট এলাকায় থাকছে না কোনো সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে আবার মাস্কও ব্যবহার করছেন না।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন জানান, ঈদের পরে যারা লকডাউন মেনে ঢাকায় যাননি তারা আজ এখনও ঢাকায় যাচ্ছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে যাত্রী চাপ কিছুটা বেশি। বর্তমানে এই নৌরুটে ছোট চারটি বড়ো ও চারটি ছোট মোট আটটি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
আর জরুরি যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে নিয়ম অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। তবে ঘাট এলাকায় এখনও কোনো যানজট তৈরি হয়নি।
একাত্তর/এসি