সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আঙিনা থেকে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের পাঁচ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব।
সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার রূপায়ন স্বপ্ন নিবাস আবাসনের সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আঙিনা থেকে পুঁতে রাখা লাশের পাঁচ টুকরো উদ্ধার করা হয়। আর আশকোনার একটি ডোবা থেকে মাথা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৬) শ্রেণিকক্ষে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করে পুঁতে রাখেন দুই বন্ধু মোতালেব ও রবিউল। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে র্যাব।
এর আগে গত ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আশুলিয়ার নরসিংহপুর সংলগ্ন বেরন এলাকার রূপায়ন মাঠের নিজ বাসা স্বপ্ন নিবাস থেকে নিখোঁজ হন মিন্টু চন্দ্র বর্মণ।
এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সাত দিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে অবশেষে ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মিন্টুর ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ। পরে ৯ আগস্ট ছায়া তদন্ত করে তিনজনকে আটক করে লাশের অবস্থান শনাক্ত করে র্যাব। সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে অভিযান পরিচালনা করে লাশের পাঁচ টুকরো উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: টিকা দেয়ার কথা বলে গায়ে আগুন দিলেন সাবেক শ্বশুরবাড়ির লোকজন
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয় কমান্ডার মঈন খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রথমে ৭ জুলাই মিন্টুকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ১৩ জুলাই স্কুলটিতে কোচিং পরবর্তী সময়ে মিন্টুকে ডেকে নিয়ে যায় বাদশা ও মোতালেব।
এ সময় মিন্টুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বাদশা আঘাত করে। পরে ছয় টুকরো করে মাথা রাজধানীর আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। বাকি পাঁচ টুকরো স্কুলের আঙিনায় পুঁতে রাখে তারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তিনি আরও বলেন, মিন্টু বর্মণের সুনাম ও খুব ভালো শিক্ষক হওয়ায় পেশাগত হিংসা শুরু করেন তারা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ নিয়েও তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। এর জের ধরেই তাকে হত্যা করে তারা। এরপর থেকেই রবিউল পলাতক ছিল।
রোববার (৮ আগস্ট) রাতে রবিউলকে আব্দুল্লাপুর থেকে, তার ভাগ্নে বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে আর মোতালেবকে আশকোনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিউলের দেওয়া তথ্য মতে, স্কুলের আঙিনা থেকে মিন্টুর শরীরের পাঁচটি অংশ উদ্ধার করা হয়।