ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই দেশের স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাবে এমন গুজব শোনা গেলেও বাস্তবে বন্দরগুলোতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বুধবার সকাল থেকেই স্বাভাবিক রয়েছে ভোমরা ও বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে ভারতের বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কিছুটা কমেছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, আগে দৈনিক ৩০০-৩৫০ গাড়ি মালামাল আমদানি হতো। বর্তমানে ভারতের বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ২৫০-৩০০ গাড়ি মালামাল আমদানি হয়। এই আমদানি করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাথর, শুকনা ঝাল, আদা, হলুদ, ফলসহ ২৫ ধরনের পণ্য। তবে বর্তমানে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব পড়েনি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আমদানীকারক (সি এন্ড এফের) কবির হোসেন বলেন, বর্তমান বিশৃঙ্খলা পরিবেশের কারণে ভারতের সাথে ব্যাবসা বাণিজ্যে কোনো প্রভাবে পড়োনি। তবে মাঝেমধ্যে শোনা যাচ্ছে ভারত থেকে রপ্তানি কিছুটা কমতে পারে। যদি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আসে তাহলে উভয় দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ভোমরা স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত আমদানি পণ্যের পরিমাণ ছিলো সাত লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৬ মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য তিন হাজার ১৭০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায় হয়েছে পাঁচশ ১৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো চারশ পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে একশ ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বেশি আয় হয়েছে।
এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের পাশাপাশি বেনাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক আছে।