সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ফেসবুকে করা এক মন্তব্যের জেরে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান রিয়াদকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। তবে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় কোনো সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করা হয়েছে।
তালামীযে ইসলামিয়ার কর্মী রিয়াদের সহপাঠীদের দাবি, বুধবার মধ্যরাতে হোস্টেলের কক্ষে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় ছাত্রশিবিরের কয়েকজন কর্মী। এসময় তারা রিয়াদকে লাথি-ঘুষি, রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা তার মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং হোস্টেলে না ফেরার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
রিয়াদের সহপাঠীরা জানান, রিয়াদ ‘জুলাই বিপ্লবে আন্দোলনের’ কর্মী ছিলেন এবং সাম্প্রতিক কুয়েটের ঘটনার প্রেক্ষাপটে করা তার একটি মন্তব্য শিবিরের নজরে আসে। এরপরই পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম রিয়াজ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির এমসি কলেজ শাখার সভাপতি ইসমাইল খান বলেন, এই হামলার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা।
এমসি কলেজের কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা শঙ্কিত। কলেজ প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এ ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।