লক্ষ্মীপুরে একটি মাদ্রাসা থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও প্রাথমিকভাবে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ, এক শিক্ষকের পিটুনিতে মারা গেছে শিশুটি। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ইতিমধ্যে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পৌর শহরের তেমুহনী এলাকার আল-মুঈন ইসলামি একাডেমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির নাম সানিম হোসাইন (১২)। মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের কুচিয়ামারা গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন মাতব্বরের ছেলে।
আটক শিক্ষকের নাম মাহমুদুর রহমান বলে জানা গেছে।
শিশুটির পরিবার জানায়, কয়েক দিন আগে মাদ্রাসা থেকে জানানো হয়, সানিম শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের কথা শোনে না এবং তার নামে বদনাম করে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক রেগে ছিলেন। ঘটনার দিন সকালে ওই শিক্ষক তাকে মারধর করেন।
তারা জানান, মাদ্রাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়- দুপুরের খাবারের পর সে টয়লেটে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে।
কিন্তু তাদের ভাষ্য, সানিমের মরদেহ টয়লেটে নয়, তারা মাদ্রাসার নিচতলার একটি কক্ষে বিছানায় পেয়েছেন। এটি পরিকল্পিত হত্যা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হক বলেন, আত্মহত্যার খবরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। মরদেহের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কালচে দাগ রয়েছে। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।