নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনার দুই দিন পর আরও এক পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই নৌ দুর্ঘটনায় দুই পুলিশসহ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হলো। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে তিন বছরের একটি শিশু।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে হাতিয়ার চনন্দী ইউনিয়নের চরনোঙ্গলিয়ার চর দরবেশ বাজারের দক্ষিণ পাশে মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম (২৮)। তিনি নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সের নায়েক। বাড়ি লক্ষ্মীপুর, বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম।
নিখোঁজ শিশুটির নাম মো. তামিম (৩)। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের মো.তারেকের ছেলে।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা জানান, বিকেলে স্থানীয়রা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। উদ্ধার পরে শনাক্ত করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি জানান, এর আগে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের মো. তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫) ও ভাসানচর থানার সাব পোস্ট মাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিনের (৫৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, গত ২৫ মে নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সের এসআই (সশস্ত্র) মোস্তাফিজুর রহমান, নায়েক সাইফুল ইসলাম নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাহারা (স্কট) দিয়ে ভাসানচরে যায়। ৩১ মে (শনিবার) দুপুর দুইটার দিকে ভাসানচর থেকে চার জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজি সংস্থার লোকসহ ৩৯জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবোচরের মেঘনা নদীতে বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও কোস্টগার্ড ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছিল।
তিনি আরও জানান নিহত পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট পুলিশে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে আসেন। তার বাড়ি লক্ষীপুরে জেলায়।