ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে ১৪জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল জানান, দুপুর ২টায় বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আন্ডারপাস সড়কে থাকা মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে এটি মুহূর্তেই দুমড়ে-মুছড়ে যায়।
তিনি জানান, এ সময় ট্রাক-মাইক্রোবাস-আটোরিকশা মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন নিহত হন। আহতদের বরিশাল মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
সরেজমিন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ, পঙ্গুত্ব বরণকারীদের তিন লাখ ও আহতদের এক লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, নিহতদের স্বজনরা হাসপাতালে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
নিহতরা হলেন- ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), ওস্তাখান গ্রামের আব্দুল মান্নান মাঝির ছেলে শফিকুল মাঝি (৫০), নওপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম মাঝির ছেলে অতিকুর রহমান সাদি (১১), নূরুল ইসলামের ছেলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন (৪০), কাঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামের মো. ইব্রাহীমের মেয়ে নূর জাহান (৭) ও তাহমিনা, প্রাইভেট কার চালক রাজাপুর উপজেলার এলাকার মো. ইব্রাহিম, রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের বারেক মৃধার মেয়ে নিপা আক্তার, উত্তর সাউদপুর গ্রামের সনিয়া বেগম, তানিয়া আক্তার, তাহমিদ রহমান, হাসিবুর রহমান।
এছাড়া বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি গ্রামের মো.রুহুল আমিন এবং দুর্ঘটনাস্থলে থাকা ভিক্ষুক মো. শহিদুল ইসলাম।