নাটোর চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক এক বিএনপি নেতাসহ তার দুই সন্তানকে ছাড়াতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার লালপুর থানার সামানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় থানা ঘেরাও শেষে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে লালপুর ত্রিমোহনীতে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় লালপুর-গোপালপুর, লালপুর-বাঘা এবং লালপুর-ঈশ্বরদী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আটকরা হলেন- লালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোকন (৫০), তার ছেলে অনিক (২৪) ফিরোজ (৩২)।
বিক্ষোভকারীরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লালপুর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা খোকনের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর ঘরে ঢুকে তাদের ব্যাপক মারধর করে এবং তুলে নিয়ে যায়।
খোকনের স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, আমার স্বামী ও দুই সন্তানকে নির্যাতন করে নিয়ে গেছে, আমরা তাদের মুক্তি চাই।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হারুন রশীদ পাপ্পু বলেন, আটকরা আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার। আওয়ামী লীগের নেতা মতিউর রহমান মতি ও জাহাঙ্গীর তাদের কাছ থেকে অনেক চাঁদা নিয়েছে। পটপরিবর্তনের পরে আটকরা সেই টাকা ফেরত চাইলে আওয়ামী লীগের নেতারা দিতেও চায়। এজন্য কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ২০ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং এর একটি ভিডিও করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে দেয়। এরপর সেনাবাহিনী খোকনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে আসে এবং ব্যাপক মারধর করে। এর প্রতিবাদেই নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীরা সড়ক অবরোধ করেছে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুজ্জামান বলেন, সেনাবাহিনী আটক করে তাদের থানায় দিয়ে গেছে। কিন্তু থানায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ নেই।
তিনি জানান, সকালে তাদের মুক্তির দাবিতে সমর্থকেরা থানার সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু পরে তারা আবার অবরোধ করেন। আটক ব্যক্তিদের জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠায়।