টানা তিন দিনের সরকারি ছুটির কারণে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোতে বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। পাহাড় পাথর আর প্রকৃতির সাদ নিতে সিলেটে এখন অবস্থান করছেন হাজার হাজার পর্যটক। তবে আনন্দের মাঝেও রয়েছে কিছুটা ভোগান্তি। জাফলংয়ে অতিরিক্ত নৌকা ভাড়া আর নোংরা পরিবেশ থাকায় হতাশ অনেক পর্যটক।
জেলার পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, সিলেটে পর্যটকদের হয়রানি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেটের জাফলংয়ে এখন পর্যটকরা ছুটছেন উঁচু টিলা, পাথুরে বিছানায় ভেসে চলা ঝর্ণার ধারা আর পিয়াইন নদীর নীল জল আর দুই দেশের সীমান্ত দেখতে। নদীর স্বচ্ছ নীল পানিতে গোসল আর পাহাড়-পাথর-পানির সংমিশ্রণে গাঁ ভাসিয়ে দীর্ঘপথ পাড়ির ক্লান্তি ভুলছেন অনেকেই।
তবে আনন্দের সাথে ভোগান্তিতেও পড়তে হচ্ছে অনেককে। পর্যটকরা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো অনুন্নত। এছাড়া নৌকার অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে, সেইসাথে
পর্যটক স্পটের নোংরা পরিবেশ অস্বস্তিতে ফেলছে তাদের।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না করলে সিলেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে পর্যটকরা। এছাড়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হোটেল-মোটেলের সংখ্যা বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, পর্যটন এলাকায় ভালো হোটেল-মোটেল থাকা উচিত।
এদিকে জেলা পুলিশ বলছে, পর্যটকদের জন্য জেলাজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকদের হয়রানি করলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
জেলার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের কাছ থেকে চেষ্টার কোনো কমতি নেই।
সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এগুলো ধ্বংসের মুখে পড়বে এমনটাই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।