সেকশন

রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
 

একাত্তরকে মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান

'বানানটি ভুল, গণমাধ্যমে কিছু বলিনি, ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে'

আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৩ এএম

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের পোরডিয়ামে  বানান ভুল প্রসঙ্গে একাত্তরের সাথে প্রথমবারের মত সরাসরি কথা বললেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, 'মুজিববর্ষ বানানটি পরিষ্কারভাবে ভুল হয়েছে। এটা জাস্টিফাই করার কোন সুযোগ নেই। এই বিষয়ে আমরা গণমাধ্যমকে কোনো ব্যাখ্যা দেইনি। তবে আমি অবাক হয়ে দেখতে পেলাম অনেক গণমাধ্যমে আমাদের নামে ব্যাখ্যা চালানো হয়েছে যা সত্য নয়'। 

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) নূর সাফা জুলহাজের সঞ্চালনায় একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে বাংলাদেশে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশব্যাপী একযোগে আয়োজিত শপথ অনুষ্ঠানের মূল পোডিয়ামে 'মুজিববর্ষ' বানানটি ভুল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। 

সঞ্চালন নূর সাফা জুলহাজ প্রশ্ন রাখেন, এই পুরো বিষয়টি তো একটি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়ার কথা, তাহলে এমন ভুল কেমন করে হতে পারে। এর জন্য দায়ী কারা এবং এই গোটা বিষয়টি নিয়ে কমিটি কোন ব্যাখ্যা দেবেন কি-না। 

জবাবে ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, 'বিষয়টি আমাদের নজর এড়িয়ে গেছে এবং এটা আমাদের ভুল হয়েছে, এটা নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার কিছু নেই। ভুল তো ভুলই। এটাকে ব্যাখ্যা দিয়ে জাস্টিফাই করার কোন সুযোগ নেই। আমাদের যেটা বড় ভুল হয়েছে সেটা হল আমাদের চোখে বিষয়টি আগে পড়েনি। পড়লে তো এমনটা হতো না। তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে কিছু গণমাধ্যম আমার সাথে কোন কথা না বলেই আমার নামে বিভিন্ন ব্যাখ্যা ছাপিয়ে দিয়েছে। আমি এধরণের কোন ব্যাখ্যা দেইনি।' 

কামাল নাসের বলেন, 'অনুষ্ঠানের কাজে আমি দুদিন প্রচণ্ড ব্যাস্ত ছিলাম। আমার পক্ষে সংবাদপত্র দেখাও সম্ভব হয়নি। আজ কিছু পত্রিকায় আমার নামে বিবৃতি দেখি আমি বিস্মিত। আমার সাথে এ ধরণের কোন আলাপই হয়নি।'

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক সবাইকে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে দুইবছর ধরে চলমান এই বিশাল কর্মযজ্ঞের অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করার এবং শপথের স্পিরিট ধারণ করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।

উল্লেখ্য, বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশব্যাপী একযোগে যে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সেখানকার মূল পোডিয়ামে বানান ভুল থাকায় সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনেকে। 

এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু জাতীয় গণমাধ্যমে প্রধান সমন্বয়কের বরাতে একটি ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলা ও প্রথম আলো সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচারিত সেই ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে- 

'প্রধানমন্ত্রী যে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে শপথ পড়ছিলেন, সেখানে মুজিববর্ষের মনোগ্রামটি লেখা ছিল মূলত একটি গোলাকার এলইডি স্ক্রিনে। তারা ব্যাখ্যায় জানায়, সেই মনোগ্রামে একটি বিশেষ লিপি বা ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ল্যাপটপে মনোগ্রামের লেখা ঠিকভাবে এলেও সেটা এলইডি মনিটরে ট্রান্সফার করার পর তা ভেঙে মাঝের একটি ‘ব’ অক্ষর গায়েব হয়ে যায়।' ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, 'ল্যাপটপে ডিজাইন ঠিকই ছিল। সেটা যখন চিপের মাধ্যমে এলইডি স্ক্রিনে ফেলা হয়েছে, তখন সেটার মেকআপ ভেঙে যায়। এলইডির ক্রপ স্ক্রিনে ওই ফন্টটি সাপোর্ট করেনি, এ কারণে ‘ব’ অক্ষরটি সরে গিয়েছে। আমরা জানার পর দ্রুত বিষয়টি সংশোধন করেছি।'

একাত্তর টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে এসে গণমাধ্যমকে এই ব্যাখ্যা প্রদানের পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেন কামাল নাসের। বরং তিনি দাবি করেন এলইডি স্ক্রিন সংশোধন করা হয়নি, বরং অনুষ্ঠানের তিনটি ধাপে তিনটি আলাদা এলইডি  স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। তাই প্রথম ধাপের শপথ গ্রহণ শেষ হলে পরের ধাপে নতুন স্ক্রিন যুক্ত হয়। এখানে কোনকিছু সংশোধন করা হয়নি। 

অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে অন্যান্য আলোচকেরাও সামান্য ভুলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করে অনুষ্ঠানের আবেগের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান। 

উল্লেখ্য বিবিসি বাংলা দুঃখপ্রকাশ তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করেছে। তারা জানিয়েছে তাদের প্রতিবেদনটি যখন প্রথম প্রকাশ করা হয়, তখন সকল তথ্য 'জাতীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি'র প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে দেয়া হয়। কিন্তু বিবিসি বাংলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন আয়োজক কমিটির মিডিয়া কনসাল্টেন্ট আসিফ কবীর। ভুলক্রমে কবীরের নামের পরিবর্তে কামাল নাসের চৌধুরীর নাম দেয়া হয়েছিল। তারা ভুল সংশোধন করে প্রতিবেদন পুনরায় প্রকাশ করে। 



একাত্তর/এআর


লেখক, কবি ও মানবাধিকারকর্মীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘পেন বাংলাদেশ’ -এর ২০২৫ সালের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় তানহা আক্তার নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধানে আলোচনার গতি বাড়াতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলমান সংলাপে গতি আনার তাগিদ দিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
ভোটের প্রতীক তালিকায় শাপলা না রাখার সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাতে গেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দল।
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত