দেশে গেলো ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুইজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ছয়জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুইজন রয়েছেন।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট চার হাজার ৪১৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
এদিকে চলতি বছরের এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৮৪৫ জন। এরমধ্যে ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ নারী রয়েছেন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন এবং এপ্রিলে ৭০১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন এবং এপ্রিলে সাতজন মারা গেছেন।
এর আগে ২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।
দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন। ওই বছরের বিভিন্ন সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে এডিস মশাবাহী এই রোগে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। সে বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।