সেকশন

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
 

যে কারণে শতবছর আয়ু ব্লু জোনের বাসিন্দাদের  

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম

বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষই ৪০ বছর পেরোতে না পেরোতেই নানা রোগ-ব্যাধি ও জরায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে; কিন্তু এই পৃথিবীতেই এমন কয়েকটি জায়গা রয়েছে, যেখানকার মানুষেরা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবেই শত বছর বেঁচে থাকে। শতবর্ষী মানুষদের বসবাস রয়েছে, বিশ্বের এমন পাঁচটি অঞ্চলকে বলা হয় ‘ব্লু জোন’।

সেখানকার দীর্ঘায়ু অধিবাসীদের জীবনযাপন সংক্রান্ত রোগ (লাইফ স্টাইল ডিজিজ) নেই বললেই চলে। আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা বেশ শক্ত সমর্থভাবেই চলাফেরা ও জীবনযাপন করে থাকেন। 

তাদের দীর্ঘ জীবন লাভের বিশেষ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। 

দীর্ঘায়ু মানুষদের বসবাসের জায়গাগুলাকে একত্রে বলা হয় হয় ব্লু জোন। আর ব্লু জোনের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলগুলো হলো- ইকারিয়া (গ্রিস), সার্ডিনিয়া (ইতালি), ওকিনাওয়া (জাপান), নিকোয়া উপদ্বীপ (কোস্টারিকা) ও লোমা লিন্ডা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। 

রহস্যময় কোনো ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নয়, ব্লু জোনের মানুষদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার মূলে আছে তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভ্যাস। কীভাবে তারা কঠোর পরিশ্রম , নিয়ন্ত্রিত খাবার ও ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলেছেন, আর কী কী খাবার তারা গ্রহণ করেন, সেসব নিয়ে বিস্তারিত রয়েছে এই লেখায়। 

ব্লু জোন কী

২০০৪ সালে প্রকাশিত জিয়ান্নি পেস এবং মিশেল পউলেইনের জনসংখ্যা সংক্রান্ত গবেষণা থেকে ব্লু জোন ধারণাটির সূত্রপাত হয়েছে। ইতালির সার্ডিনিয়ার নুরো প্রদেশের শতবর্ষী পুরুষদের অঞ্চলকে চিহ্নিত করতেই তারা ‘ব্লু জোন’ নামটা প্রথম ব্যবহার করেছিলেন।  

প্রকৃতপক্ষে ব্লু জোন হলো- বিশ্বের সেই সব অঞ্চলগুলো, যেখানকার অধিবাসীদের আয়ু পৃথিবীর মানুষের সাধারণ গড় আয়ুর তুলনায় বেশি।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলগুলি নিয়ে গবেষণা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ফেলো ও সুপরিচিত লেখক ড্যান বুয়েটনার। গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, ব্লু জোনের বাসিন্দারা ব্যতিক্রমভাবে দীর্ঘকাল সুস্থভাবে জীবনযাপন করে।

এরপর বুয়েটনারের গবেষণার উপর ভিত্তি করে পৃথিবীতে এমন পাঁচটি অঞ্চল খুঁজে পাওয়া গেছে, যেগুলোকে ব্লু জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘দ্য ব্লু জোনস’ বইতে বুয়েটনার পাঁচটি অঞ্চল সম্পর্কে বিশদভাবে তুলে ধরেছেন। 

ব্লু জোনের পাঁচ অঞ্চল

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্লু জোন অঞ্চলগুলির বেশির ভাগ মানুষের আয়ু ৯০ থেকে ১০০ বছরের বেশি। তাদের দীর্ঘায়ুর পেছনে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ভূমিকা রাখে জেনেটিক্স। তবে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতিই তাদের দীর্ঘায়ু করতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

ইকারিয়া: ইকারিয়া হলো এজিয়ান সাগরে অবস্থিত গ্রীসের একটি দ্বীপ। এই দ্বীপে মধ্যবয়সীদের মৃত্যু ও ডিমেনশিয়ার হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। গবেষকরা মনে করে, তাদের এই দীর্ঘ জীবনের মূল রহস্য হলো খাদ্যাভ্যাস; যেটাকে ‘মেডেটেরিয়ান’ ডায়েট বলা হয়। 

ইকারিয়া দ্বীপের মানুষদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সমৃদ্ধ থাকে জলপাইয়ের তেল, রেড ওয়াইন ও দেশীয় শাকসবজি দিয়ে। তাদের খাদ্য তালিকার মধ্যে খুব কম থাকে দুধ ও মাংসজাতীয় খাবার। 

ওগলিয়াস্ট্রা, সার্ডিনিয়া: ইতালির সার্ডিনিয়ার ওগলিয়াস্ট্রা এমন একটি অঞ্চল, যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শতবর্ষী পুরুষ মানুষ বসবাস করেন। ‘শতবর্ষী পুরুষ’-দের অঞ্চল হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে গুলিয়াস্ট্রা। 

পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় সেখানকার সেখানকার পুরুষরা সাধারণত খামারে কাজ করে। আর তাদের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে সবচেয়ে কম অর্থাৎ খুব সামান্য পরিমাণ প্রোটিন থাকে। তবে তারা সবজিসহ প্রচুর মাছ খান ও রেড ওয়াইন পান করেন।

ওকিনাওয়া: ওকিনাওয়া হলো জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি অঞ্চল। দেড়শো দ্বীপ নিয়ে জাপান ও তাইওয়ানের মধ্যে পূর্ব চীন সাগরে এর অবস্থান। এখানে বসবাস বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী নারী। 

অন্য ব্লু জোনের বাসিন্দাদের মতো তাদেরও দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য হলো খাদ্যাভ্যাস। ওকিনাওয়ার বাসিন্দারা প্রচুর পরিমাণে সয়া-ভিত্তিক খাবার খায়। এছাড়া ‘তাই চি’ নামে এক ধরনের শরীর চর্চার অনুশীলন করেন তারা, যা তাদের দীর্ঘায়ু হতে সহায়তা করে। 

নিকোয়া উপদ্বীপ: দক্ষিণ আমেরিকার কোস্টারিকার একটি উপদ্বীপ হচ্ছে নিকোয়া। এই অঞ্চলের মানুষদেরও গড় আয়ু প্রায় শতবছর। তাদের খাদ্যতালিকার অন্যতম উপাদান হলো- মটরশুঁটি ও ভুট্টা।

নিকোয়ার মানুষরা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তারা প্রচুর কাজ করে। নিকোয়ার মানুষরা বিশ্বাস করে যে, ভালো জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা। আর এটা সম্ভব প্রচুর পরিশ্রম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে। 

লোমা লিন্ডা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা অঞ্চলের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী হচ্ছে সেভেনথ-ডে অ্যাডভেন্টিস্ট। এই গোষ্ঠীর মানুষদের গড় আয়ু যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষদের চেয়ে কমপক্ষে ১০ বছর বেশি। 

তারা প্রধানত নিরামিষাশী এবং মাছ, মাংস খান খুবই কম। আর তারা কখনোই কোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার খায় না। 

ব্লু জোনের বাসিন্দাদের খাদ্য তালিকা 

ব্লু জোনে বসবাসকারীদের ৯৫ শতাংশই উদ্ভিদ জাতীয় খাবার খায়। এর মানে এই নয় যে, তারা শুধুই নিরামিষাশী। তাদের খাদ্য তালিকায় মাংসের পাশাপাশি মাছ, দুধ, ডিমও খাতে। তবে এ ধরনের শক্তিশালী আমিষ জাতীয় খাবার তারা খায় খুব কম এবং কখনোই প্রতিদিন খায় না।

তাদের মূল খাদ্য হলো শাকসবজি, ফল, মটরশুঁটি, লেবু, গোটা শস্য, বাদাম ও বীজ। এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই খাবারগুলো হৃদরোগ, ক্যান্সার, উচ্চ রক্ত চাপ ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ওমেগা– থ্রি মস্তিষ্ক ও হার্ট  ভালো রাখার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ওমেগা থ্রির প্রধান উৎস হলো মাছ। ইকারিয়া ও সার্ডিনিয়ায় বাসিন্দাদের খাদ্য তালিকার প্রায়ই মাছ থাকে। আর সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে একটি বিরাট অংশ গড় আয়ু ১০০ বছরের বেশি। 

পাঁচ লাখের বেশি মানুষের ওপর কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের মধ্যে ক্ষতিকর হরমোন থাকে, যা হৃদরোগ ও ক্যান্সার মতো মারণ ব্যাধিসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ব্লু জোনের মানুষেরা প্রতি মাসে গড়ে মাত্র চার থেকে পাঁচবার মাংস খায়।

ধারণা করা হয় যে, খাদ্যাভ্যাসই তাদের দীর্ঘ জীবনের মূল চাবিকাঠি। ব্লু জোনের বাসিন্দারা কম ক্যালোরির খাদ্য গ্রহণ ও উপবাস করে। গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকায় তাদের আয়ু আয়ু বেড়েছে। 

এছাড়াও ব্লু জোনের বাসিন্দারা ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলেও তারা একবারে পেট ভরে খায় না। ৮০ শতাংশ খেয়েই খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এটা ওজন বৃদ্ধি ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের প্রতিরোধ করে।

নিয়মিত পরিমাণ মতো ওয়াইন পান করে ব্লু জোনের বাসিন্দারা। দিনে তারা গড়ে এক থেকে দুই গ্লাস ওয়াইন পান করে থাকেন। এই অভ্যাস তাদেরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা ছাড়াও চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না। 

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পরিমাণ মতো ওয়াইন পান করলে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়, বিশেষ করে হৃদরোগ। এর কারণ হলো, ওয়াইনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা ডিএনএর ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে।

এছাড়া নিয়ন্ত্রিত ওয়াইন পানে হৃদরোগ ছাড়াও টাইপ-২ ডায়াবেটিস, এমনকি ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা থেকেও মুক্ত থাকা যায়। কিন্তু গবেষণায় এটিও দেখা গেছে যে, উচ্চ মাত্রার অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় পান করলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। 

শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শুধু খাবারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা। আর শরীরচর্চাকে নিজেদের জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ বানিয়ে ফেলেছে ব্লু জোনের বাসিন্দারা। 

কিন্তু তারা প্রতিদিন জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করে না। বরং তাদের দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে শরীরচর্চার কাজ সেরে ফেলেন। খামারে কাজ, বাগানের পরিচর্যা করা, অনেকটা হাঁটা, পাহাড়-পর্বতে উঠা- এগুলো ব্লু জোনের মানুষদের খুবই সাধারণ অভ্যাস। আর এসবের জন্যই তাদের আর আলাদা করে ব্যায়ামের প্রয়োজন হয় না। 

সার্ডিনিয়ার ব্লু জোনের ১৩ হাজার পুরুষদের ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের দীর্ঘ আয়ুর সঙ্গে সম্পর্ক আছে প্রচুর হাঁটাহাঁটি করার। নিয়মিত হাঁটলে ক্যান্সার, হৃদরোগ ও সামগ্রিক মৃত্যুর ঝুঁকি কমে আসে।

গবেষকদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করলে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এটি টক্সিনের ভাঙন বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হাড় ও পেশীকে মজবুত রাখতে সহায়তা। 

ব্লু জোনের বাসিন্দারা মনে করে, ব্যায়ামের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও রাতের ভালো ঘুম স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনও দেখা গেছে যে, কেউ কেউ কাজের মাঝে নিজেকে সতেজ রাখার জন্য দিনের বেলাতেও হালকা ঘুম দিয়ে নেন।

তারা খুবই শক্তভাবে ঘুমের সময়সীমা মেনে চলেন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই জেগে ওঠেন ও সূর্যাস্তের পরে খুব বেশিক্ষণ জেগে থাকে না। 

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সাত ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমালে, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকসহ অন্যান্য রোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে আনতে পারে। বিশ্রাম ও ঘুম শরীরকে সতেজ করতেও সাহায্য করে।

দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা

মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকে- এই কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু ব্লু জোনের মানুষরা এটি বিশ্বাস করে ও তাদের জীবনযাপনে এর বাস্তবায়নও করে থাকে। তারা যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করে।

শরীরচর্চার পাশাপাশি তারা মন ভালো রাখতে প্রতিদিন প্রার্থনা বা ধ্যান করে এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটায়। সবার সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রাখার জন্যও তারা নিরন্তর চেষ্টা চালায়। 

ব্লু জোনের বাসিন্দারা কাজকেই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য মনে করেন না। পাশাপাশি তারা জীবন নিয়ে কখনো হতাশাগ্রস্ত হন না। বরং নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ খুশী থাকেন তারা। এমনকি জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তারা কখনো অতিরিক্ত কাজের দিকে ঝোঁকেন না। তাদের বিশ্বাস, জীবনকে উপভোগ করে মন ভালো রাখলেই শরীর সুস্থ থাকে। 

শেষ কথা

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘায়ু ও স্বাস্থ্যবান মানুষদের বসবাসের অঞ্চল ব্লু জোনের বাসিন্দাদের জীবনধারা কিছুটা আলাদা হলেও, তা অনুসরণ করা মোটেও কঠিন কিছু নয়। তারা বেশিরভাগই উদ্ভিদ জাতীয় খাবার খায়, নিয়মিত ব্যায়াম করে, পরিমিত পরিমাণে ওয়াইন পান করে এবং পর্যাপ্ত ঘুমা বা বিশ্রামে থাকে।

আর এসবই তাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাদের এই লাইফ স্টাইল দীর্ঘ জীবন যাপনের প্রধান রহস্য, যা অনুসরণ করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষ তাদের সীমিত আয়ুকে আরও কয়েক বছর বাড়িয়ে নিতে পারেন। 

আরবি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রবাসীদের সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে শতাধিক ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।  
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও এ পরিস্থিতিতে 'যে কোনো পদক্ষেপের জন্য' মোদী সরকারের প্রতি পূর্ণ...
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যে কোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে.
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত