নির্বাচন কমিশন গঠনে দেরি হলেও কোন সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন ইসি সচিব অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করবেন।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কে এম নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সোমবার। এই সময়ের মধ্যে নতুন কমিশন গঠিত না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তর আইনমন্ত্রী বলেন, সোমবার বর্তমান কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তারপরে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যদি একটু বিলম্ব হয় তা আইনে শূন্যতা হিসেবে গণ্য হবে না।
তিনি আরো বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত, নির্বাচন কমিশনের সচিব অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। এতে সাংবিধানিক কোন শূন্যতা তৈরি হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আনিসুল হক স্পষ্ট করেন, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবে না। কারণ সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন, তারা না আসা পর্যন্ত বর্তমানরা দায়িত্বে থাকবেন, এমন কোনও কথা নাই।
তবে এ সময়ে নির্বাচন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নতুন কমিশন আসলেই কোনও নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।
সার্চ কমিটিতে বিএনপি কোনও মতামত দিচ্ছে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ আইন পাস করেছে, সার্চ কমিটি গঠন করেছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে যে গত বছরের ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শুরু করে এই বছর জানুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত যে সংলাপ রাজনৈতিক দলগুলোর হয়েছে; সেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং যে দলগুলো সংলাপে যায়নি আজকে যারা সার্চ কমিটিতে যায়নি সকলেরই কিন্তু একটা দাবি ছিলো যে, একটা ইলেকশন কমিশন গঠনের আইন করা উচিত’।
বিএনপির আলোচনায় অংশ না নেয়াকে গণতান্ত্রিক মনে করেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, অবশ্যই গণতান্ত্রিক না। এটা নিয়ে তো রকেট সায়েন্স প্রুফড যে গণতান্ত্রিক না। গণতন্ত্রের কথাই হচ্ছে সংলাপ, আন্ডারস্ট্যান্ডিং। সেখানে প্রত্যেকবারই কোনও পদক্ষেপকে যদি তারা ইতিবাচকভাবে না নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেয় তাহলে আমার মনে হয় জনগণ সেটিকে গণতান্ত্রিক বলে মনে করবে না।
একাত্তর/এআর