দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যাক মানুষকে করোনার টিকার আওতায় লক্ষ্য অনেকটাই অর্জিত হয়েছে। প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ করোনার কমপক্ষে একডোজ টিকা পেয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এখন তাদের লক্ষ্য দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করা। সেটা সম্ভব হলে করোনা সংক্রমণের ভয় অনেকটাই কাটবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গেলো বছরের জুনে করোনা টিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত হবার পর আগস্ট থেকে প্রায় প্রতি মাসেই টিকার আওতায় আনা হয় কোটি মানুষকে।
প্রথমে একদিনে ৩৬ লাখ পরে একদিনে আশি লাখ এবং সবশেষ গেল ২৬ ফেব্রুয়ারীর বিশেষ কার্যক্রমে সোয়া এক কোটিরও বেশি মানুষ প্রথম ডোজের টিকা পান।
সর্বসাধারণের আগ্রহের কারণে আরও গণটিকার সময় সীমা বাড়ানো হয় আরও দুই দিন। সব মিলে ফেব্রুয়ারির শেষ তিনদিনেই টিকা নিয়েছে প্রায় এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে ১৭ কোটি ৩১ লাখ মানুষের দেশে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেখানে করোনার অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছে ১২ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি মানুষ।
যা মোট মোট জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮ কোটি ৪৩ লাখ মানুষ। অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ১২ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ১৩ কোটি ৩১ লাখ। সেই হিসেবে প্রায় এক কোটি মানুষ এখনও টিকার আওতার বাইরে আছে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, এখন মূল টার্গেট হবে প্রথম ডোজ পাওয়া সবাইকে দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কোন জনগোষ্ঠীর ৭০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ টিকার আওতায় আনা সম্ভব হলে করোনার সংক্রমণ আবারো ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থাকবে না।
তারপরও পাঁচ বছর থেকে ১২ বছর বয়সীদেরও টিকার আওতায় আনার কথা ভাবছে সরকার। বিশ্ব সংস্থার সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই শুরু করা হবে সেই কর্মসূচি।