চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি তিনশ’ নয়, ১৭০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা শিল্প মালিকদের বৈঠকে এই মজুরি ঠিক করা হয়।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৩ জন চা শিল্প মালিকের দীর্ঘ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে গণভবনের গেটে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের আশা প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের পক্ষ হয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে মজুরি বাড়াবেন। সেটাই তিনি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী রোববার থেকে সবাই কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শিগগিরই চা শ্রমিকদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করবেন বলে জানান মূখ্য সচিব।
তিনি বলেন, দৈনিক ১৭০ টাকা সর্বনিম্ন মজুরির সঙ্গে বোনাস, বার্ষিক ছুটি, ভাতা আনুপাতিক হারে বাড়বে। বেতনসহ উৎসব ছুটি ও ভাতা আনুপাতিক হারে বাড়বে।
অসুস্থতাজনিত ছুটির টাকা ও ভবিষ্যত তহবিলে নিয়োগকর্তার চাঁদা আনুপাতিক হারে বাড়বে। সব মিলে ন্যূনতম মজুরি দৈনিক প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পড়বে।
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দুঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের চা-শ্রমিকরা।
এরপর ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। শ্রমিক নেতারা কথা বলে আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির আরও উন্নতি: প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নানান আশ্বাস দিয়েছেন। তাতেও কাজ হয়নি। ২৩ আগস্ট চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও তা মানেনি সাধারণ শ্রমিকরা।
একাত্তর/এসি