প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গবেষকরা কে কী বলছেন সেটা নিয়ে ভাবছি না। নিজেরা সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে দেশের মানুষ খাদ্য নিয়ে কষ্ট না পায়।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় সংসদে আনা এক সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। বাংলাদেশ কখনও ঋণগ্রস্ত হয়নি, সময় মতো সব ঋণ পরিশোধ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক রিজার্ভে তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করার টাকা থাকলে ঝুঁকিমুক্ত বিবেচনা করা হয়। দেশে পাঁচ–ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে। এখানে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
দেশের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার মতো কমিশন খাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ কোনো প্রকল্প নেয় না।
তিনি জানান, চালু হওয়ার পর গত ৬০ দিনে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বেশি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা মানে দেশের মানুষের সেবা করা। লুটপাট, দুর্নীতি, নিজের ভাগ্য পরিবর্তন নয়।
তিনি বলেন, চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার জন্য মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেটা আমি উপলব্ধি করি। আমি নিজেও এখন সব বাতি জ্বালাই না। আমরা সেখানে কিন্তু সাশ্রয় করি। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার পরিবর্তে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনেক কাজ করি। সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। মানুষের কল্যাণ আমাদের কাছে সব থেকে বড়ো। মানুষের কষ্ট হলে অন্তত আমার মনে ব্যথা লাগে। কারণ আমার বাবা তো এদেশের মানুষের জন্য তার জীবনটি উৎসর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, সব বিবেচনা করে জ্বালানি তেল ও সারের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই পদক্ষেপ নিতে হবে। জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে, পাঁচ টাকা। যুদ্ধ শুরুর পরপর দাম বাড়ালে অনেক বেশি দাম বাড়াতে হতো। মানুষের কথা চিন্তা করে এটা করা হয়েছে।
একাত্তর/এসি