আগামী বছর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য প্রস্তুত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তবে, কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ গ্রিডে নেয়ার প্রস্তুতিমূলক কাজ এখনও শেষ হয়নি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি জানান, নির্ধারিত সময়েই রূপপুরের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
২০১৭ সালে শুরু হয় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। যার দায়িত্বে রয়েছে রাশিয়ার মতো বড় দেশ।
করোনার তীব্র সংক্রমণের সময় একদিনের জন্যও থেমে থাকেনি রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। ফলে বেধে দেয়া সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে প্রকল্পের কাজ।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বসানো হলো দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি। কেন্দ্রটি আগামী বছরই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হবে জানান প্রকল্প পরিচালক এবং বিজ্ঞানমন্ত্রী।
প্রথম ইউনিটের চুল্লি বসানোর এক বছরের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসাতে পারাকে বড় অর্জন বলে মনে করছেন স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
তিনি বলেন, আগামী বছর কেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম দেশে আসবে। ফলে আগামী ডিসেম্বর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করতে পারবে।
আর রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করায় প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাবে।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের শেষের দিকে প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি এই বিদ্যুৎ গ্রিডে আনার দায়িত্বে থাকলেও কাজ আগায়নি। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, পিছিয়ে থাকলেও কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে সঞ্চালন তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে না পারার কারণে এ ধরনের সংকট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
একাত্তর/এসজে