প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ, রেলপথে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে যাত্রীরা ট্রেনে চড়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন গন্তব্যে।
শুক্রবার সকাল থেকে দেশের প্রধান রেলস্টেশন কমলাপুরের প্রায় সব ট্রেনই সময়মতো ছেড়েছে । এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি যাত্রীদের।
গত ২৬ মার্চ যারা আগাম টিকেট কিনেছেন, তারাই এদিন বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করছেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে, ট্রেনে উঠতে ও নিজ আসনে পৌঁছাতে কোনো বেগ পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের। ট্রেন চলাচলের শিডিউলে পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের সামান্য বিলম্ব ছাড়া আর কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। আর যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে তিন স্তরে টিকেট চেক করা হচ্ছে।
আজ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৬৭ জোড়া ট্রেন ঈদ যাত্রীদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শুক্রবার থেকে এক জোড়া বিশেষ ট্রেনও নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল শুরু করেছে।
রেল কর্মকর্তা বলছেন, রোববার বাড়বে যাত্রীর চাপ। তাই ওইদিন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটবে সাত জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন।
এদিকে ২৭ মার্চ আগাম টিকেট সংগ্রহকারীরা যাত্রা করবেন শনিবার, আর ২৮ মার্চের টিকেট সংগ্রহকারীরা রোববার যাবেন গন্তব্যে।
এবার ঈদে যাত্রী চাপ সামাল দিতে কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঈদযাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীদের টিকেট চেক করে ভেতরের যেতে দেয়া হচ্ছে। টিকেট ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না।
যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র্যাব সদস্যদের এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
স্টেশনে ঢুকে প্ল্যাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করতে আবারো দেখাতে হচ্ছে টিকিট। সেসব টিকিট স্ক্যান করে তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই ভেতরে যেতে পারছে যাত্রীরা।
আর দালালের দৌরাত্ম্য ও টিকেট কালোবাজারি না থাকায় বাড়তি যাত্রী যাওয়ার সুযোগও নেই বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।