জলবায়ু বদলের কারণে ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা’য় যুক্ত হচ্ছে দেশের স্বাস্থ্যখাত। এমন খবর জানিয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে প্রাথমিকভাবে সহযোগিতা করবে সুইডেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের জলবায়ু স্বাস্থ্য ও পরিবেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি ডা. ড্যানিয়েল নোভাকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর সঙ্গে স্বাস্থ্যখাত জড়িত থাকলেও এনিয়ে আলাদাভাবে কাজ হয়নি। তবে এ বিষয়ে এখন সরকার সচেতন। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বন্যা, সাইক্লোন, সমুদ্রপৃষ্ঠের লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়াসহ যেসব সঙ্কট মোকাবিলায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তার সঙ্গে এখন থেকে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে।
এসময় অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাস অনেকদিন ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তারা আগেও তাদের কিছু সুপারিশ আমাদের জানিয়েছে। কাজেই কীভাবে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সামনের দিকে যেতে পারি, তা নিয়ে আজ তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি মনে করি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যকে যে ধরনের গুরুত্ব দেওয়া উচিত, আগামীতে সেটা আমরা করতে চাই। আমরা আলাদাভাবে স্বাস্থ্যের এনএপি করবো না, তবে বর্তমানে যে এনএপি আছে, তাতে স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে যোগ করতে চাই।