চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও পাঁচ দিন বৃদ্ধির ফলে ১০ আগস্ট শেষ হবে এর মেয়াদ। ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হবার পর ১৮ বছর বয়সী কেউ ঘর থেকে বের হলে সঙ্গে টিকা কার্ড রাখতে হবে। এছাড়া পড়তে হবে শাস্তির মুখে। শাস্তি নিশ্চিতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হবে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সভার সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত ছিলেন।
সরকারে জেষ্ঠ্য মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে কেন্দ্র থাকবে, আর সিটিতে থাকবে ৫-৬টি কেন্দ্র।
তিনি আরও বলেন, ১১ তারিখে সব পর্যায়ের মানুষ যারা কাজ করছেন তারা ভ্যাকসিন নেবেন এবং সনদ নিয়ে কাজে যোগ দেবেন। দেশের ১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিক ভ্যাকসিন নেবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে ২৩৫ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫ হাজার ৭৭৬
যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের মানাতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে। আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেহেতু সংসদ বন্ধ তাই আইন পাস করা সম্ভব নয়।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিদ্যমান থাকার কথা রয়েছিল। এসময়ে সবরকম শিল্প-কল-কারখানা, গণপরিবহন, দোকানপাট-শপিংমল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পোশাক কারখানা মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে গত পহেলা আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়া হয়। একইসময়ে শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য কয়েক ঘণ্টার জন্য দূরপাল্লার বাস ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলার অনুমতি দেয় সরকার।
এরপর বিভিন্ন মহল থেকে আওয়াজ ওঠে ৫ আগস্টের পর থেকে দোকানপাট, পরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেয়ার। তবে সরকার তাতে সাড়া না দিয়ে আজ জানিয়ে দিলো যে, চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসময়ে সরকার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপকভাবে গণটিকাদান কর্মসূচী পরিচালনা করবে। এসময় এক সপ্তাহে এক কোটি টিকাদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপর আগামী ১১ আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে সবকিছু খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের মন্ত্রীরা।
একাত্তর/আরএইচ