বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত চক্ষু রোগীদের বিশেষ চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন নেপাল থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল।
এবার ৫ থেকে ৭ অক্টোবর কমপক্ষে ৩০০ রোগীকে সেবা দিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন নেপালের চিকিৎসকরা।
যারা দুই চোখেই দেখছেন না, এবার তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। অনেক রোগীর চোখেই শটগানের ছররা গুলি লাগায় তাদের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ৬ থেকে ৮ মাস পর এই রোগীদের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করতে নেপালের চিকিৎসকদের সাথে চুক্তি হয়েছে।
এদিকে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য শাহরিয়ার মুহাম্মদ ইয়ামিন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম দফায় আমরা নেপাল এবং বাংলাদেশের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের যৌথ ব্যবস্থাপনায় চক্ষু রোগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
দ্বিতীয় দফায় আগামী ৮ অক্টোবর ফ্রান্স থেকেও চোখের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আসবেন। যাদের বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রয়োজন, আন্দোলনে আহত সেসব চক্ষু রোগীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি।
গত ৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনে আহত যেসব চক্ষু রোগীর বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যোগাযোগের জন্য বলা হয়।
এ সময় যোগাযোগের জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি মোবাইল ফোন নাম্বার দেয়া হয়। সেগুলো হলো- ০১৭১৭৫৪৫৮৩৯, ০১৯৯৮৫৪৬৮৮৮ এবং ০১৭১৭৪৮৭৮০৭।