সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের ওয়েবিনারে এ ঘোষণা দেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ওয়েবিনারে নসরুল হামিদ জানান, বাপেক্সের অনুসন্ধানে পাওয়া ২৮তম এ গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলন যোগ্য মজুদ রয়েছে ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র এখনও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল ভিত্তি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছে সরকার। এখন লক্ষ্য, দেশে নিরবচ্ছিন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি নিশ্চিত করা।
তিনি আরও জানান, রংপুরসহ বড়ো শহরগুলোতে গ্যাস পৌঁছানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-দৌলতদিয়ায় ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী-যান পারাপার
এর আগে ১৫ জুন সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভার আনন্দপুর গ্রামের ফায়ার স্টেশন লাগোয়া একটি কৃষি জমিতে গ্যাস পাওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। ১৬ জুন বাপেক্সের প্রতিনিধি দল সার্বিক বিষয় পরীক্ষা করার জন্য ঢাকা থেকে সিলেটে যান। এর আগের দিন ১৫ জুন বেলা ১১টার দিকে কূপের মুখে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হয়। ওই সময় বলা হয়, কূপে গ্যাসের চাপ রয়েছে ১১ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি)। কূপটিতে চার স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তখন জানানো হয়।
বাপেক্স সূত্র জানায়, এ ক্ষেত্রে গত ১ মার্চ থেকে ৭ মে পর্যন্ত খননকাজ করা হয়। মোট ১ হাজার ৯৮১ মিটারের একটি কূপ খনন করা। কূপের দুই হাজার ৮৭০ থেকে ২ হাজার ৮৯০ মিটার স্তরের মধ্যে এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এখন একটি কূপ খনন করলেও, সামনে আরও দুই থেকে মোট তিনটি কূপে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে দেশে ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ছয় টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রমাণিত মজুত অবশিষ্ট রয়েছে তিন টিসিএফ। সম্ভাব্য মজুত রয়েছে সাত টিসিএফ।
একাত্তর/এসি