পরিসর ও সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এবারের অমর একুশে বইমেলা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বইমেলা হবে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা। এবারের বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে বইমেলার প্রস্তুতি নিয়ে বাংলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক বলেন, এবারের মেলায় বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। বিধি-নিষেধ নেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই প্রকাশে।
বেড়েছে পরিসর। বেড়েছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সংখ্যা। ১৯৭২ সালে মুক্তধারা প্রকাশক চিত্তরঞ্জন সাহার উদ্যোগে শুরু হওয়া বইমেলা এখন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের বইমেলার তকমা পেয়েছে। একুশ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বছর ঘুরে দুয়ারে আবার যখন ফেব্রুয়ারি, তখন বাংলা একাডেমি আর সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণজুড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ। তাতে আছে আশা, আছে হতাশা।
বৃহস্পতিবার সকালে, সংবাদ সম্মেলনে সে প্রশ্নের উত্তর কতটা মিলেছে, কতটা মেলেনি। প্রশ্ন ছিল, মাঠ পাওয়া থেকে শুরু করে স্টল বরাদ্দ, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘিরে বিতর্কসহ এবারের প্রস্তুতিতে একাডেমির লেজেগোবরে অবস্থান নিয়ে। মানতে নারাজ একাডেমি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।
তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলার সংস্কৃতি এবার প্রতিরোধ করা হবে। গোলযোগ এড়াতেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে, এবারের বইমেলা ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বইমেলা হবে বলে দাবি করেছেন সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন মেলায় সর্বোচ্চ ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। গেলো বারের চেয়ে ৭৮টি বেশি।
তিনি বলেন, আগামী এক ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। আমরা ভাষা শহীদ-ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শনিবার বিকাল তিনটায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো রাখা হয়েছে। তবে, কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহিরপথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে।
সদস্য সচিব জানান, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বাহিরপথ থাকবে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। খাবারের স্টলগুলোকে এবার সুবিন্যস্ত করা হয়েছে বিশেষভাবে।
বইমেলার প্রবেশ ও বাহির পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলা এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে।