শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় তিন ঘণ্টার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এদিকে একই সময়ে রাজধানীর মহানগর এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের বডিগার্ড আরাফাত ও তার সহযোগী শরীফকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি বলছে, আজ বিকেল ৫টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
সুব্রত বাইন বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত অপরাধচক্র নেতা। তাকে সচরাচর 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় কমপক্ষে ৩০টি খুনের মামলা রয়েছে। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে হত্যার মধ্যদিয়ে নামকরা সন্ত্রাসী হিসাবে সুব্রত বাইনের অভিষেক হয়।
২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর যে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার ঘোষণা করেছিলো, তাদের অন্যতম ছিলেন সুব্রত বাইন।
১৯৯৭ সালের দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, তানভিরুল ইসলাম জয়, টোকাই সাগর, টিক্কা, সেলিম, চঞ্চল ও মোল্লা মাসুদ মিলে গড়ে তোলেন সেভেন স্টার গ্রুপ। ওই গ্রুপে কাজ করার কারণে মোল্লা মাসুদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সখ্য গড়ে ওঠে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের।