করোনার এক বছরে নারীর অবস্থা অনেকটাই বিপর্যস্ত। গত ২৫ বছরের মধ্যে এবার বাল্য বিবাহের হার সর্বোচ্চ। অলস সময়ে কর্মহীন পুরুষের হাতে সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে ২৪ শতাংশ। সাইবার জগতেও অপরাধ বেড়েছে দ্বিগুণ। পুরনো বিপদ ধর্ষণ তো আছেই।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন এই পরিস্থিতিতে সহিংসতার ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে কোঠরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।
ফেসবুকে সাইবার সহিংসতার শিকার হয়েছেন তছলিমা আক্তার। তিনি একাত্তরকে জানান তার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে প্রথমে কভারে একটি ছবি দেয়া হয় যেখানে লেখা ছিল 'হ্যাকড' এবং প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে একটি নগ্ন ছবি দিয়ে দেয়া হয়। মামলা করলেও করোনার সময়ে এসে হাল ছেড়ে দিয়েছেন এই ভুক্তভোগী।
করোনার নয় মাসে হ্যাকিং, হয়রানী ও উত্যক্তকরণের মামলা বেড়েছে আগের বছরের চাইতে ২৯ শতাংশ এই অভিযোগকারীদের অধিকাংশই নারী। বর্তমানে রাজধানীতে প্রতিমাসে ৩০টি করে সাইবার অপরাধের মামলা হচ্ছে। এদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় মাত্র ৭ শতাংশ নারী এইসব সমস্যার আইনের আশ্রয় নেন।
সাইবার জগতের মত শান্তি নেই ঘরেও। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ২০২০ সালের নভেম্বর মাস্যা দেশের ৫৯ জেলায় ১০ লাখ নারীর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখিয়েছে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪০,০০০ নারী। যাদের ৪০% প্রথমবারের মত নির্যাতনের শিকার হলেন।
ব্র্যাক পরিচালিত আরেক জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে বাল্যবিবাহের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা। তাদের জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে ২০২০ সালের প্রথম ১০ মাস্যা বাল্যবিবাহ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ।
কোঠর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ না করা গেলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করা যাবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।