ইউটিউব ও ফেসবুকের কল্যাণে দেশে এখন প্রায় একশ’ তথাকথিত আইপি টিভি রয়েছে। যাদের কোনো অনুমোদন নেই।
এমনকি আইপি প্রযুক্তিও তারা ব্যবহার করে না, শুধু ইউটিউব ও ফেসবুকে একটি প্রোফাইল তৈরি করেই সেটিকে টিভি হিসেবে ঘোষণা করে প্রচার করা হচ্ছে।
আর, এর পেছনে রয়েছে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড। রয়েছে আরো বিস্তর অভিযোগও।
ঘটনা এমন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মোড়ে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করছেন দুই জন। হাতে মাইক্রোফোনও আছে যাতে লেখা একাত্তর ট্রিবিউন।
এই নামে বাংলাদেশে কোন টেলিভিশন নেই। কাছে গিয়ে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, গাজীপুরের একজন আইপি টিভির নামে ফেসবুক ও ইউটিউবে এটি চালাচ্ছেন।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিধিও নিয়োগ করছেন, যদিও কোন অনুমোদন নেই। নেই কোন ধরনের কাগজপত্রও।
এর বাইরে ৭১ বাংলা টিভি নামে তথাকথিত একটি চ্যানেলের প্রতিনিধি আছে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলায়। যারা কোথাও গিয়ে নিজেদের একাত্তর টিভির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেন।
এছাড়াও বাংলার টিভি একাত্তর, ডিএকাত্তর, সময় ৭১, ফ্ল্যাশ নিউজ ৭১ সহ এক ডজনেরও বেশি তথাকথিত টিভি চ্যানেল আছে, যারা নিজেদের ৭১ টিভির সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন।
দেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠিত স্যাটেলাইট টেলিভিশনের নামের সাথে মিল রেখে এমন ডজন ডজন ইউটিউব টেলিভিশন রয়েছে।
এদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সিএনএন এর মতো বিদেশি চ্যানেলের নামও। রাজধানীতে বঙ্গরূপ টেলিভিশন নামেও কথিত টিভি চ্যানেলের অস্তিত্ব রয়েছে।
আছে সিটি নিউজ ঢাকা, চ্যানেল টুয়েনটি থ্রি, গণ টেলিভিশন, রিচি টিভি, স্বপ্ন টেলিভিশন নামের চ্যানেল। একটি চ্যানেলের নাম আবার মুসকান টিভি।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা- বিটিআরসি বলছে, এবার তারা টেলিভিশন নামধারী এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
তথ্যমন্ত্রীও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন। যা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
একাত্তর/এআর