দেশের অন্যতম শীর্ষ সংবাদভিত্তিক চ্যানেল একাত্তর টিভি সম্প্রচারে আসার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া চ্যানেল ও পেজ তৈরি করে ভিত্তিহীন খবর ও গুজব প্রচারে লিপ্ত হয়। এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে একাত্তর টিভি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থান ও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়।
একাত্তর টিভির নাম ও লোগো ব্যবহার করা এমন ভুয়া ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আপত্তি জানিয়ে বন্ধ করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় একটি অসাধু চক্র আবারও একাত্তর টিভির লোগো ও নাম ব্যবহার করে ভুয়া ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ প্রকাশ করে ভিত্তিহীন খবর ও গুজব প্রচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে ‘একাত্তর টাইমস’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ একাত্তর টিভির নজরে এসেছে। এর প্রকাশকরা ‘একাত্তর টিভি’র লোগো হুবহু নকল করে ব্যবহার করছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি। এই বিষয়ে এরিমধ্যে ইউটিউব ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানানো হয়েছে।
একাত্তর টিভি কর্তৃপক্ষ পরিস্কারভাবে জানাচ্ছে যে, একাত্তর টাইমস নামে ভুয়া ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের সঙ্গে একাত্তর টিভির কোন ধরনের সম্পর্ক নেই। এই চ্যানেলে প্রচারিত কনটেন্টের সঙ্গে একাত্তর টিভিতে সম্প্রসারিত কোনো খবরের মিল নেই। এমনকি চ্যানেলটির উপস্থাপকদের সঙ্গেও একাত্তর টিভির কোনো সম্পর্ক নেই।
একাত্তর টাইমস পরিকল্পিতভাবে একাত্তর টিভির জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারে পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এমনকি সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাদের বক্তব্য প্রচার করছে, যা দেশের সম্প্রচার নীতিমালা ও আইনের পরিপন্থি।
এই অবস্থায় একাত্তর টাইমস নামে ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ সম্পর্কে একাত্তর টিভির সম্মানিত দর্শক এবং শুভানুধ্যায়ীদের সতর্ক থাকার জন্য একাত্তর টিভি কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানাচ্ছে। পাশাপাশি একাত্তর টাইমস চ্যানেলটি বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।