নির্বাচনে জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন মনে করছে না বিএনপি। দলটির নেতারা প্রত্যাশা করেন, জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাইরের কোন শক্তি নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ।
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানতে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা না পেয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথাও জানিয়েছে দলটি। ভোটের দাবিতে এবার পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে এবার যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে বসে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক হয়।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের সাথে অনেকগুলো বিষয়ে একমত হয় বিএনপি। বৈঠক শেষে জোট প্রধান মোস্তফা জামান হায়দার জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান তারা, নয়তো বিভ্রান্তি বাড়বে, সুযোগ নেবে পরাজিত শক্তি।
লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমস্যা দেখছেন না তারা। সরকারও সেটি বুঝবেন বলেও প্রত্যাশা তার।
এদিকে, আজই নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে মতের অমিল ও ভিন্ন চিন্তা থাকলেও দেশের স্বার্থে সবাই এক হয়ে লড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী দিনেও দেশের ভবিষ্যৎ জনগণই নির্ধারণ করবে বলে আশা তার।
এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা কামনা করে দেশ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।